Trending

বাজারমূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে আস্থা বাড়ানো জরুরি

এবার টানা নিম্নমুখী শেয়ারবাজার। কমছে লেনদেন, মূল্যসূচক ও বাজারমূলধন। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৩২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এতে মূল্যসূচক কমেছে ১৪১ পয়েন্ট এবং বাজারমূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশ কয়েকটি কারণে শেয়ারবাজার নিম্নমুখী। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি, বিশ্ব অর্থনীতির নিম্নমুখী প্রবণতা এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক নেতিবাচক অবস্থার প্রভাব পড়েছে বাজারে। তাদের মতে, শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো জরুরি।

গত সপ্তাহে ৫ দিনে ডিএসইতে ৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮১০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ৪দিনে ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। প্রতিদিন গড়ে ৮৭৭ কোটি টাকা হয়েছিল। এ হিসাবে গত সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৪৫ কোটি টাকা। তবে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৬৭ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ডিএসই ব্রড সূচক ১৪১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১১২ পয়েন্টে নেমেছে। ডিএসই ৩০ সূচক দশমিক ৩২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৯২ পয়েন্টে নেমেছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে উঠেছে। গত সপ্তাহে ৪১১টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৯টি কোম্পানির শেয়ার, কমেছে ৩২০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ার। তবে ১০টি কোম্পানির কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজারমূলধন ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা কমে ৭ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসাবে বাজারমূলধন কমেছে ১২ হাজার কোটি টাকা।

একক কোম্পানি হিসাবে গত সপ্তাহে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ১৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়াও জিকিউ বলপেনের শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশ, গোল্ডেন সন ১৫ শতাংশ, ফাইন ফুড ১৩ শতাংশ, ফুয়াং সিরামিক ১০ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইল ৭ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স ৬ শতাংশ, বিকন ফার্মা ৫ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক মুদারাবা মিউচুয়াল ফান্ড ৫ শতাংশ এবং আলহাজ টেক্সটাইলের শেয়ারের দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে শীর্ষ দশের তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোতে ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাজারের মোট লেনদেনের ২৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর মধ্যে প্রথম অবস্থানে থাকা ফুয়াং সিরামিকের লেনদেন ২০৮ কোটি টাকা, দ্বিতীয় অবস্থানে সেন্ট্রাল ফার্মার লেনদেন ১৮৯ কোটি টাকা এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা মুন্নু ফেব্রিকসের ৯৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আফতাব অটোমোবাইলের ৮৯ কোটি, ফরচুন সুজের ৮৯ কোটি, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের ৮৭ কোটি, বেস্ট হোল্ডিংসের ৮৪ কোটি, ফুয়াং ফুডের ৭৯ কোটি, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭৫ কোটি এবং ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর ৭২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button