বাবার মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ে নামতে পারি: এরিক ট্রাম্পের ইঙ্গিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে তিনি বা তাঁদের পরিবারের অন্য কেউ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এরিক বলেন, ‘আমি যদি ঠিক করি রাজনীতিতে আসব, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথটা আমার জন্য কঠিন হবে না। কিন্তু আপনি আপনার পরিবারকে আবার এই যাত্রায় (রাজনীতিতে) নিয়ে যেতে চান কি না, সেটাই হলো প্রশ্ন?’
২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবার হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পর থেকে ৪১ বছর বয়সী এরিক ট্রাম্পকে রাজনীতির চেয়ে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক রাজনীতিবিদের কাজকর্মে (পারফরম্যান্স) হতাশ। আমি মনে করি, আমি অনেক ভালোভাবে এই কাজ করতে পারি।’
এরিক আরও বলেন, ‘শুধু আমি না, আমাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য এই পদে লড়াইয়ের যোগ্যতা রাখেন।’
২০২৮ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের দৌড়ে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প পরিবারের কেউ কি আর নির্বাচনে থাকবেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে এরিক বলেন, ‘আমি জানি না…সবকিছু সময় বলে দেবে। তবে (রাজনীতিতে আসার জন্য) আমাদের পরিবারের মধ্যে আমিই একমাত্র ব্যক্তি নই।’
ট্রাম্প পরিবার রাজনীতি থেকে অর্থ উপার্জন করেছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এরিক। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রাজনীতি থেকে উপকৃত না হয়ে থাকে, সেটা আমাদের পরিবার। আমার বাবা যদি প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতেন, তাহলে আমাদের পরিবারের সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি হতো। কারণ, রাজনীতিতে নামার কারণে আমরা অনেক সুযোগ হারিয়েছি। আইনি সমস্যা মেটাতে অনেক খরচ হয়েছে এবং এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমাদের পরিবারের ওপর বড় ধরনের চাপ পড়েছে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে দাবি করেন, শুধু আইনি লড়াইয়ের পেছনে তাঁদের খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।
ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান শেয়ারমূল্য কাগজে-কলমে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এই সম্পদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ।
২০২৪ সালে ট্রাম্প কেবল ক্রিপ্টোকারেন্সি ও নানা লাইসেন্সপ্রাপ্ত পণ্য (আবাসন প্রকল্প, ঘড়ি, গিটার, বাইবেলসহ) থেকে আয় করেছেন ৬৩ কোটি ডলার।
এরিকের দাবি, ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের বাজারমূল্য এখন ৮০০ কোটি থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের মধ্যে।