Science & Tech

বার্লিনে হঠাৎ বন্ধ হলো টেসলার কারখানা, কেন

জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত নিজেদের কারখানায় আরও বেশি গাড়ি তৈরির উদ্যোগে নিয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। এ জন্য ‘গিগাফ্যাক্টরি’ নামের কারখানাটির আকারও বাড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে দেশটির পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন ধরেই টেসলার কারখানা সম্প্রসারণের বিরোধিতা করছেন। এ আন্দোলন চলাকালে হঠাৎ করেই সাময়িকভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে টেসলা।

জানা গেছে, গত ৭ মে পরিবেশবাদীদের আন্দোলন চলাকালে কারখানার এক অংশে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরপর ৮ মে রাতে কাজ শেষে কারখানার সব কর্মচারীকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেয় টেসলা। এ বছরের শুরুতেও কারখানাটিতে আরও একবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। তখন বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে এক সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। ভলকানো গ্রুপ নামের একদল পরিবেশবাদী বিক্ষোভ চলাকালে কারখানায় হামলার দায় স্বীকার করেছে।

টেসলা জানিয়েছে, কারখানা চার দিন বন্ধ থাকবে। তবে প্রাথমিকভাবে কারখানার পরিচালক আন্দ্রে থিয়েরিগ কারখানা একদিন বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিলেন। কারখানা বন্ধের ঘটনা টেসলার জন্য চাপ তৈরি করবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ, ইউরোপীয় অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রথম তিন মাসে টেসলা গাড়ি বিক্রির পরিমাণ ৪.৭ শতাংশ কমে গেছে।

বাজারের বিক্রির হার কমে যাওয়া কিংবা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরেও টেসলা বার্লিনে তার কারখানার সম্প্রসারণ বন্ধ করেনি। এ উদ্যোগের আওতায় কারখানাটিতে ব্যাটারি উৎপাদন প্ল্যান্টের ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হবে। ফলে বছরে ১০ লাখ গাড়ি তৈরি করা সম্ভব হবে।

এ বছর ইউরোপে বেশ প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছে টেসলা। লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার কারণে গত জানুয়ারি মাসে গাড়ির উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির সঙ্গেও প্রতিযোগিতা গভীর হচ্ছে। চীনা বাজারে টেসলার বিক্রির ১৮ শতাংশ কমে গেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button