বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম আট মাস অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থবছরের আট মাস বিবেচনায় এটি গত এক দশক বা ১০ বছরের মধ্যে এডিপির সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার। অবশ্য টাকার অঙ্কে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে কম খরচ হয়েছে এই সময়ে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গতকাল এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইএমইডি।
gr মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ক্ষমতার পটপরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের খুঁজে না পাওয়া সবকিছুর প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে। চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। অবশ্য এখন তা সংশোধন করে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। এর আগে কখনো এডিপি এতটা কাটছাঁট করা হয়নি।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুসারে, গত আট মাসে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বাস্তবায়ন ১ শতাংশও হয়নি। বিভাগের ১৩টি প্রকল্পে ৪ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। কিন্তু গত আট মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হার দশমিক ৪১ শতাংশ।
সব মিলিয়ে আটটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের ১০ শতাংশ খরচ করতে পারেনি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ছাড়া অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
আইএমইডির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের আট মাসে খরচ হয়েছে মাত্র ৬৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ২১ লাখ। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২ দশমিক ১০, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ দশমিক ৮০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল।