‘বিএনপি নেতাদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত’
‘নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির নেতাদের কারাগার থেকে এক রাতে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের দেওয়া এ বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনও দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ দলীয় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে, গণতন্ত্রের প্রতি আওয়ামী লীগের যে কমিটমেন্ট তা বিনষ্ট করে; এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপি বা কাউকে দেবে— এটা কখনও সঠিক হতে পারে না। এ ধরনের প্রস্তাব সরকার এবং দল দেয়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাক্ষাতকারে ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সহিংসতা আটকাতে পরিকল্পিতভাবেই জেলে পুরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, ২০ হাজার নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করলে কি আর এই হরতালের দিন গাড়ি চলতো? গণগ্রেফতার ছাড়া আমাদের কোনো গত্যন্তর ছিল না। যেটাই করা হয়েছে আমরা চিন্তা-ভাবনা করেই করেছি।
তবে কী সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে কিছুই করেনি আওয়ামী লীগ? ড. রাজ্জাক জানান, বিএনপিকে ভোটে আনার সব চেষ্টাই হয়েছে। এক রাতেই সব নেতার মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি দলটি।
তিনি বলেন, তারা যদি নির্বাচনে আসে তবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে- এমন কথা নির্বাচন কমিশন থেকে তাদের বারবার বলা হয়েছে। শুধু পিছিয়ে দেওয়া না, বলা হয়েছিল যে- সবাইকে জেল থেকে মুক্ত করা হবে। তাদের জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যাবে।
আজকের সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের জানান, কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত, দলের নয়।
ওবায়দুল কাদের জানান, এ পর্যন্ত ২৭টি দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৮৮৬ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৩৫৭ জন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা প্রমুখ।