Bangladesh

বিএনপি মাইনাসের চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র!

কিংস পার্টির ড. কোরেশীর করুণ পরিণতি

‘কিংস পার্টি’ শব্দের সঙ্গে দেশের মানুষের পরিচয় হয় ২০০৭ সালে। ওয়ান- ইলেভেনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফখরুদ্দীন-মঈন ইউ আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। সংস্কারের নামে ‘মাইনাস টু’ ঘোষণা দিয়ে ওই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশির নেতৃত্বে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৭ সালের ৭ জুন প্রতিষ্ঠার পর দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে পিডিপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে। হুমড়ি খেয়ে বিভিন্ন দলের নেতা, সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যোগ দেন পিডিপিতে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেগুনবাগিচার পিডিপির অফিস হয়ে ওঠে রাজনীতিকদের মিলনমেলা। অর্ধশতাধিক সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, কয়েকশ’ সাবেক এমপি, সাবেক সচিব, সাবেক সেনাকর্মকর্তা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিল্পপতিÑ বড় বড় ব্যবসায়ী সবাই হুমড়ি খেয়ে ড. কোরেশীর নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত পিডিপিতে (শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাকশালেও এভাবে যোগদানের মেলা বসেছিল) যোগদান করেন। দেশের বড় বড় হোটেলে সংবাদ সম্মেলন-সেমিনারে ঝাঁকে ঝাঁকে সাংবাদিক, টিভি ক্যামেরা মহাকাণ্ড। প্রিন্ট মিডিয়া তো বটেই (ওই সময় অনলাইন পোর্টাল তেমন ছিল না) টিভি খুললেই ড. ফেরদৌস কোরেশীর দেশপ্রেমী-জ্বালাময়ী বক্তব্য। সর্বত্রই আলোচনাÑ নির্বাচনে পিডিপি ক্ষমতায় আসবে। কিংস পার্টি গঠনের দেড় বছরের মাথায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। পিডিপির আসন শূন্য। পিডিপির রমরমা অফিসে বাতি জ্বালানোর লোক পাওয়া যায় না। আত্মঘাতী কিংস পার্টি গঠন করায় সমাজে ধিকৃত হন এবং এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সংশ্লিষ্টরা। সব নেতা চলে যাওয়ায় কোরেশী নিজের স্ত্রীকে দলের চেয়ারম্যান পদে বসান। অতঃপর দীর্ঘদিনের উজ্জ্বল রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে কিংস পার্টির নেতা অপবাদ নিয়ে লোকলজ্জার আড়ালে থেকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। নতুন সরকারের মেয়াদ তিন মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নতুন রাজনৈতিক দল কিংস পার্টি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই কুষ্টিয়া জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সারা দেশে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামো (কিংস পার্টি) গোছানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আরো ১৫টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কার্যক্রম চলছে। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের এক প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করা হয়েছে। মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৫৫ সদস্যের এই জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়। যদিও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি যারা গঠন করেছেন তাদের বেশির ভাগই তার দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা।

জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্দোলনে সাফল্য অর্জন করা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। শপথ গ্রহণের পর পরই অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিয়েছে এবং নতুন ভিসি নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যেই প্রশাসনে রদবদলে জেলা প্রশাসক নিয়োগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে। বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ সংগ্রহ করে কয়েক কোটি টাকা ব্যাংকে রেখে দেয়ার তথ্য প্রকাশ পায়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হৈচৈ হয়। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তোলায় গণহত্যা করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকের পরতে পরতে স্থান পাবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বন্দুকের নলের সামনে বুক পেতে দিয়ে জানান দিয়েছে তারা বীরের জাতি। শিক্ষার্থীদের এই গৌরবগাথা এখন ইতিহাস। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ককে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে নির্যাতন করা হয়েছে। হারুন অর রশিদ নামের বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা ছাত্রনেতাদের নিজেই ‘আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলো’ বিবৃতি লিখে দিয়ে ক্যামেরার সামনে পাঠ করতে বাধ্য করেন। টিভিতে সে সচিত্র খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে লাইফে এসে অন্য সমন্বয়করা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তারা বলেছিলেন, একজন যদি বেঁচে থাকি তাহলেও আন্দোলন চলবে। শুধু কি তাই? বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে দু’জন সমন্বয়ক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন তারা অন্যদের চেয়ে সাফল্য দেখাচ্ছেন। অথচ বয়সে তরুণ অনভিজ্ঞ দুই উপদেষ্টা এখনো ছাত্র। প্রধান উপদেষ্টার সহকারী হিসেবে যে ছাত্রনেতা যোগদান করেছেন তিনিও সাফল্য দেখাচ্ছেন। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে সম্ভাবনা উজ্জ্বল। অথচ বাংলাদেশের সূর্যসন্তান এই ছাত্র তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের গৌরবগাথা সাফল্যকে বাঁকা পথে ফেলে দিতেই (ড. ফেরদৌস কোরেশীর পরিণতি) কি তাদের দিয়ে কিংস পার্টি গঠনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে? জনসমর্থনহীন কিছু রাজনৈতিক দল, ভারতের তাঁবেদার গণমাধ্যম, হাসিনার উচ্ছিষ্টভোগী সুশীল ছাত্রদের দিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল (কিংস পার্টি) গঠনের চেষ্টায় বাতাস দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দু-একজন উপদেষ্টা এবং কিছু আমলার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নতুন দল কিংস পার্টি গঠনের প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে। কেউ কেউ পতিত আওয়ামী লীগকে সংসদে আসার সুযোগ করে দিতে নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক হারে জনপ্রতিনিধির আইন করে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের দাবি তুলছেন। এই যে দাবি, প্রক্রিয়া, প্রচারণা, কিংস পার্টি গঠনের তোড়জোর সবকিছুই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে টার্গেট করে। বিএনপি যাতে আগামীতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে এককভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে লক্ষ্যেই চতুর্দিকে বিএনপি মাইনাস ষড়যন্ত্র চলছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করবেন না। মাইনাস টু ফর্মুলা অতীতে কাজ করেনি বর্তমানেও করবে না। একজন উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ক্ষমতায় যেতে রাজনীতিকরা উসখুস করছেন’। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছি। যতই দেরি করবেন হাসিনারা ফিরে আসবে। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করছি। আপনারা সহযোগিতা করেন।

চ্যানেল আই ‘আজকের সংবাদপত্র’ অনুষ্ঠানে গতকাল প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা দেখতে পেয়েছি, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার পতনের পর তারা আবার ফিরে এসেছে। এমনকি বিদেশে পলায়নের পরও ফিরে এসেছে, ফিলিপাইনের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি সেটা। হাইতি বা দু-একটা দেশের কথা শুনেছি, তারা ফিরে এসেছে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং তার দলের একটা বড় অংশ যারা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ছিলেন তারাও পালিয়ে গেছেন। দেশের ভেতরে যারা আছেন তাদের বড় অংশ জেলে বা লুকিয়ে আছেন। বর্তমান সরকার তাদের বিচার করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। বিচার হবে, বিচারের জন্য হয়তো আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। জুলাই-আগস্টে মানুষের যে ক্ষোভ দেখেছি, মানুষের মধ্যে ঘৃণার উদ্রেক হয়েছে; আমি মনে করি, আগামী দশ বছরের মধ্যে তাদের (শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ) ফিরে আসা, দল পুনর্গঠন ও দল পরিচালনা করা এবং নির্বাচন বা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।’

ভারতে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা নিজেই দেশের রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যা ও মানবাধিকার লংঘনের দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ব্রিটেনের তিনজন প্রভাবশালী আইনজীবী। দেশেও প্রায় দুইশ’ হত্যা মামলা হয়েছে হাসিনার বিরুদ্ধে। অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ভারতের সহয়তায় হাসিনা নানা ফন্দিফিকির করছেন। সেই খুনি হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা কেন? আগে দেখা গেছে কিছু বু্িদ্ধজীবী, সুশীল, সাংস্কৃতিকর্মী এবং ভারতের উচ্ছিষ্টভোগী দু-একটি গণমাধ্যম দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া ছিলেন। হাসিনা পালানোর পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে ভারতীয় ফাঁদে পা দিয়েছে দেশের অনেকগুলো রাজনৈতিক দল। দিল্লির এজেন্ডা যেকোনোভাবেই হোক বিএনপির ক্ষমতায় আসা ঠেকানো। রাজনৈতিক দলগুলো কেউ বুঝে কেউ না বুঝে দিল্লির সে এজেন্ডা বাস্তবায়নে শোরগোল করছেন।

নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত ৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত। কিন্তু দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়ে গেছে। নামসর্বস্ব, প্যাডসর্বস্ব অনেক দল রয়েছে তাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বামী-স্ত্রী। বেশির ভাগ দলের নিজস্ব কোনো অফিস নেই। নেতারা পকেটে প্যাড নিয়ে ঘোরেন এবং বিভিন্ন ইস্যুতে বিবৃতি দেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বেশির ভাগ দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন তারা ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার পদে নির্বাচন করলেও জামানত রক্ষা করতে পারবেন না। সেই সব দলের নেতারা দিল্লির ‘হাসিনা পুনর্বাসন’ এজেন্ডা বাস্তবায়নে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ভাবখানা এই যে, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে সংসদে যদি একটি আসন পাওয়া যায়। এমনকি যে জামায়াতকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ভারত বছরের পর বছর ধরে প্রচার করছে। দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নে হাসিনা ১৫ বছর দলটির ওপর দিয়ে সুনামি চালিয়েছে। সে দলটিও দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়নের চক্রে পড়েছে। দিল্লির চক্রান্ত সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘমেয়াদি হলে আওয়ামী লীগ গুছিয়ে ওঠার সময় পাবে। সে কারণে দলটির আমির বিএনপির বিপরীতে গিয়ে ‘যত সময় লাগে সংস্কার করুক’ চেতনা ধারণ করে ‘একটি দল নির্বাচনের জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে’ মন্তব্য করেছেন। ভারতের সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের এজেন্ডার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। শুধু কি তাই, দলটি হিন্দুত্ববাদী ভারতের আরএসএসে ভাবশিষ্য নরেন্দ্র মোদিকে খুশি করতে রংপুরে জামায়াতের ‘হিন্দু শাখা কমিটি’ গঠন করেছে। ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই’ স্লোগান দেয়া জামায়াতে ইসলামী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে আল্লাহর আইন কিভাবে কায়েম করবেন তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ‘হিন্দু শাখা কমিটি’ গঠনের মধ্যদিয়ে জামায়াত ভারতকে কি বার্তা দিচ্ছে?

প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্রুত নির্বাচনের দাবি নিয়ে বিষোদগার করছে। বিভিন্ন সেক্টর সংস্কারের নামে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পণ করছেন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা সবকিছুই হচ্ছে বিএনপিকে টার্গেট করে। ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিএনপি যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে সে জন্যই এসব ষড়যন্ত্র। বাস্তবতা হচ্ছে হাসিনা রেজিম দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মতিউর রহমানের মতো প্রবীণ সাংবাদিক বলেছেন, ‘আগামী ১০ বছরে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই’। হাসিনা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ সবকিছু ধ্বংস করেছে। দেশের উন্নয়নে আগামীতে প্রয়োজন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব। গণহত্যাকারী দল আত্মঘাতী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। এখন বিএনপি হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের সবচেয়ে বেশি জনসমর্থিত দল। কোটি কোটি তরুণ দলটির নেতা-কর্মী-সমর্থক। তাদের নেতা হচ্ছেন তারেক রহমান। সেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে দেশে কি স্থিতিশীল নেতৃত্ব সম্ভব?

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d