USA

বিতর্কের মাঝে নিজের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরলেন বাইডেন

তার মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার। এসবের মাঝেই নিজের পররাষ্ট্র এবং অভ্যন্তরীণ নীতির পক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীনের সাথে প্রতিযোগিতা এবং ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধসহ একাধিক বিদেশী নীতির বিষয়ে বিস্তৃত মন্তব্য করে বাইডেন জানান, তিনি  ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজা উপত্যকার দখল থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট বলেন,  ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সমর্থন না দেয়ার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টে শি জিনপিংয়ের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। তবে এ বিষয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলার কোনো কারণ খুঁজে পাননি তিনি।পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে আলোচনা করার সময় বাইডেন সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু বাইডেন যিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে একাধিক প্রেস কনফারেন্সে প্রশ্ন উঠেছে।  ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কিত পারফরম্যান্সের পর থেকে সেই প্রশ্ন আরো জোরালো হতে শুরু করেছে। তার চিন্তা-ভাবনার গতি থেমে যাচ্ছে বা তার মানসিক তীক্ষ্ণতা ক্ষয় হচ্ছে, এ ধরনের কথা-বার্তায়  প্রেসিডেন্ট বাইডেন হোঁচট খাওয়া সত্ত্বেও শক্তভাবে নাকচ করে দেন। তবে বেশ কিছু আইনপ্রণেতা, তারকা এবং ডেমোক্র্যাট দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তাকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছেন।

এর উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘আমি ইতিহাসে আমার স্থানের জন্য এটা করছি না। আমি যে কাজ শুরু করেছি সেটা সম্পন্ন করার জন্য আছি।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভোটারদের মধ্য তার শক্ত সমর্থন আছে।  তিনি প্রতিযোগিতায় থাকবেন এবং জয়ী হবেন। তার বক্তৃতা শেষ করার কিছুক্ষণ পরে, কানেক্টিকাট কংগ্রেসম্যান জিম হিমস, হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে  প্রচার থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এক্সে  লিখেছিলেন: “আমাদের অবশ্যই একজন  শক্তিশালী প্রার্থীকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে। আমি  বিশ্বাস করি না যে তিনি জো বাইডেন।’

আরও দু’জন কংগ্রেসনাল ডেমোক্র্যাটও বাইডেনকে  সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিনিধি স্কট পিটার্স বলেছেন, ‘বাধা অনেক বেশি এবং আমরা হারার পথে আছি,’ যখন ইলিনয়ের প্রতিনিধি এরিক সোরেনসেন বলেছিলেন যে বাইডেন  দলের উপরে দেশকে রাখুন। এর উত্তরে ওয়াশিংটন ডিসিতে ৩২-সদস্যের ব্লকের একটি শীর্ষ সম্মেলন কোণঠাসা বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমাকে আমার ইউরোপীয় মিত্রদের কেউ এসে বলেনি জো, দৌড়িও না । উল্টে আমি তাদের বলতে শুনেছি, ‘আপনাকে জিততে হবে’।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button