বিলিয়ে দিয়েছিলেন ৮০০ কোটি ডলার, মানব-সেবক সেই চাক ফিনির মৃত্যু
হাতে ইলেকট্রনিক ঘড়ি। পরনে সাধারণ শার্ট। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত যেমন গাড়িতে চড়ে, ইকোনমি ক্লাসে বিমানে চড়ে তেমনটাই করতেন আইরিশ-আমেরিকান ব্যবসায়ী চার্লস চাক ফিনি। আর ঠিক সেই কারণে কেউ জানতেই পারেননি তিনি যে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। আর যতদিনে বুঝেছিলেন তাকে ততদিন নিঃশব্দে, নীরবে অর্জিত ধন বিলিয়ে গিয়েছেন তিনি দেশ-দশ ও বিশ্বের কল্যাণে।
মঙ্গলবার ৯২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন সেই আইরিশ-আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং সমাজসেবী চাক ফিনি। তিনি তার প্রাইভেট ফাউন্ডেশন আটলান্টিক ফিলানথ্রপিসের মাধ্যমে পাঁচটি মহাদেশে ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি দান করেছেন। তার দানের অর্থে স্কুল হয়েছে, হাসপাতাল উঠেছে, লোকে চাকরি পেয়েছেন। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা বিলিয়েও তা নিয়ে কোনও অহং বোধ ছিলনা চাক ফিনির। বরং আত্মত্যাগেই জীবনের সারসত্য খুঁজে পেয়েছেন তিনি। পেয়েছেন শান্তি। যা অর্থের চেয়েও দামি।
চাক ফিনি একসময় ব্যবসা শুরু করেছিলেন অল্প পুঁজিতে। কঠোর পরিশ্রমে সেই ব্যবসা ছড়িয়ে দেন বিশ্বের বহু দেশে। চাকরি হয় বহু মানুষের। অল্প সময়ে মোটা টাকা আয় করে চাইলেই বিলাস, বৈভবে ডুবতে পারতেন। কিন্তু করেননি। জীবনের শুরুর দিকে মহৎ উদ্দেশে যে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন তিনি তা কেউ জানতেই পারেনি। অনেক পরে তার দাতা স্বভাবের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
সর্বস্ব দান করে সাধারণ একটি ফ্ল্যাটে অতি সাধারণভাবে তিন জীবন কাটাতেন। সারা জীবন রোজগার করে সকলে শেষ বয়সে একটু আরাম করতে চান, বিলাসের জীবন চান তখন সমস্ত ধন বিলিয়ে শান্তি পেয়েছিলেন চাক ফিনি। আর তাতেই তিনি তৃপ্ত ছিলেন। চাইতেন, সকলেই এগিয়ে আসুক মহৎ কাজে। রোজগারের একাংশ নয়, বেশিরভাগটাই দেশ ও দশের জন্য দিয়ে দিক সকলে সেটাই চাইতেন ধন কুবের।