Bangladesh

বুয়েট ক্যাম্পাস থমথমে

সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ মুখোমুখি ছাত্র আন্দোলনের নেপথ্যে ‘জঙ্গি কানেকশন’ খুুঁজছে সরকার শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে অনড়, ছাত্র রাজনীতির পক্ষে নমনীয় ভিসি ১২১৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র একজন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দিন গতকাল রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে একাডেমিকসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে হচ্ছে। এখন চর দখলের মতো ছাত্রলীগ রাজনীতির নামে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সুযোগ খুঁজছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ বলছে, রাজনীতি করা একজন শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো শিক্ষার্থী যদি চায় সে রাজনীতি করবে তবে সে তা করবেই। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে। এতে প্রশাসনের কোনো অধিকার নেই। বাধা দেয়ার চেষ্টা হলে প্রতিহত করা হবে। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থী ও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ মুখিমুখি অবস্থানে; তখন ছাত্রলীগের তল্পিবাহক ভিসি প্রফেসর ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে বুয়েটে রাজনীতি চলবে। অবশ্য এরই মধ্যে সরকার বুয়েটের আন্দোলনের জঙ্গি কানেকশন খুঁজতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে দু’জন প্রভাবশালী মন্ত্রী একজন প্রভাবশালী নেতা এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুয়েটে ক্যাম্পাসের আন্দোলনে জঙ্গি কানেকশন খোঁজার কথা জানিয়েছেন। ফলে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির আন্দোলন কিছুটা স্থিমিত হলেও ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যপারে সরকারের মনোভাব জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বুয়েটের আন্দোলনের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে জঙ্গিবাদের কারখানা তৈরি হচ্ছে কিনা দেখা হচ্ছে। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতাদের বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববারও তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তবে একটি ব্যাচের মাত্র একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের এ চলমান আন্দোলনের বিপরীতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ প্রেক্ষিতে পুনরায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রবেশ করানোর ব্যাপারে নমনীয় দেখা গেছে বুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদারকে। সাংবাদিকদের এক প্রেস-ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে বুয়েটে রাজনীতি চলবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সে উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে। আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তবে গত ৩০ মার্চ শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জঙ্গিবাদী মানসিকতা আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা কিছুদিন আগেও দেখতে পেয়েছি অনেকে অভিযোগ করেছিলেন যে, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীও গোপনে সেখানে (বুয়েট) কার্যক্রম করার আলোচনা-সমালোচনা ছিল। আন্দোলনের পেছন থেকে কেউ কি জঙ্গিবাদী মানসিকতার-উগ্রবাদী মানসিকতার কেউ কি ইঙ্গিত দিচ্ছে কি না, সেটা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে কথা বলেছি। তারা সেভাবে করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে আসার প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভ করে আসছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম ব্যাচের সকল বিভাগের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ১২১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১২১৪ জন শিক্ষার্থীই অনুপস্থিত ছিল বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এর চগে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম ব্যাচের প্রথম টার্ম পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদেরকে নানা ট্যাগ দিয়ে হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে গতকাল সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা দৃঢ়কন্ঠে জানান, এ আন্দোলন থেকে তারা সরে আসবে না।

এক লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি মিডিয়ায় বুয়েটের আন্দোলনরত বিপুলসংখ্যক সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা। আমরা আবারও সাফ জানিয়ে দিতে চাই আমাদের অবস্থান কেবল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় এখানে শিক্ষার্থীরা যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের বিরোধী।

আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক উদযাপন ও অংশগ্রহণ এবং সম্যকভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিই এর প্রমাণ। এটি প্রমাণ করার জন্য আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর ক্যাম্পাসের সব সাধারণ শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে অবমাননা করে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমাদের একাডেমিক থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে হচ্ছে। অথচ দফায় দফায় প্রতিবাদ জানানোর পরও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা আমাদের অরাজনৈতিক বুয়েট ক্যাম্পাসের দাবিকে সম্মান না করে উল্টো ক্যাম্পাসে রাজনীতি প্রবেশের সুযোগ খুঁজছে।

ক্রমাগত অসন্তোষ এখন তীব্র আন্দোলনে রূপ নিয়েছে শুধু একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাওয়ার দাবি থেকেই। তাই আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি ভুল প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য। আমরা শপথ করছি সব রাজনৈতিক ও নিষিদ্ধ সংগঠন থেকে বুয়েটকে মুক্ত রাখার। আমরা আবরার ফাহাদ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ইস্যুতে গতকাল রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বুয়েটে যারা ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে কথা বলে তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়। এরা সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি, এদের চিহ্নিত করা হবে।

রাজনীতি নিষিদ্ধের আইন অব্যাহত রাখার দাবির আন্দোলনের মধ্যে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দুপুরে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বুয়েট শহীদ মিনারে ফুল দেয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এসময় তাদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখাসহ বিভিন্ন ইউনিটের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এসময় বুয়েটের একাডেমিক ভবন, আবাসিক হলগুলোর ফটক ও প্রধান ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর আগে মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ছাত্রলীগের প্রবেশে সহায়তাকারী বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বির বিষয়ে বুয়েট প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী এবং শিক্ষাবিরোধী উল্লেখ করে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এসময় ‘আমার সোনার বাংলায় মৌলবাদের ঠাঁই নাই/আমার সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘শিবিরের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ ইত্যাদি সেøাগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীর। ছাত্রলীগ সভাপতির সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে তবে সে একা হলেও আমরা তার পাশে দাঁড়াব। রাব্বি (মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রবেশে সহায়তাকারী বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বি) যদি একা হয় আর মৌলবাদী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যতজনই হোক না কেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে রাব্বির পাশে থাকবে। তিনি বলেন, আমি বুয়েটে প্রবেশ করায় আমাকে বলা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী। আমি বলতে চাই শুধু বুয়েট কেন, পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা নাগরিক হিসেবে আমার সাংবিধানিক অধিকার। বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতিটি পাতায় পাতায় বাকস্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, নিজ মতামত প্রকাশের অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সংগঠন করার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং এটা যদি কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তও হয় তবুও তা সংবিধানবিরোধী।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা এখানে লড়াই করছি মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অসাংবিধানিক ও মৌলিক মানবাধিকারবিরোধী এবং একই সঙ্গে সুস্পষ্ট খোলামেলা শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা শহীদ মিনারে দাঁড়িয়েছি। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে। এসময় বুয়েট প্রশাসনের নিকট নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে বুয়েট ক্যাম্পাসে মৌলবাদী রাজনীতির বীজ বপন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আমরা দেখেছি বুয়েটের নৈরাজ্যকর অবস্থা। আমরা বুয়েট প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে বুয়েটের সকল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে লড়ব, টকশোতে লড়ব, আইনি অঙ্গনে লড়ব। এসময় তিনিও বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর আহ্বান জানান।

সমাবেশে যোগ দিয়ে বুয়েটের অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি বলেন, রাজনীতি করা একজন শিক্ষার্থীর সাংবিধানিক অধিকার। কোনো শিক্ষার্থী যদি চায় সে রাজনীতি করবে তবে সে তা করবেই। এতে বুয়েট প্রশাসনের কোনো অধিকার নেই তাকে বাধা দেওয়ার।

এদিকে বুয়েট ক্যাম্পাসে আন্দোলনের নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে কি না, তা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের টিম রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্ত করে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto