International

বেইজিং-ওয়াশিংটন কি সাইবার যুদ্ধে জড়াচ্ছে?

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ গত সোমবার চীনকে তাদের নেটওয়ার্ক লঙ্ঘন ও গোপন নথির তথ্য সংগ্রহের জন্য দায়ী করেছে। অবশ্য বেইজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করে এটাকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে চীনের প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর দুটি সাইবার হামলা চালানোর বেইজিংয়ের অভিযোগের কয়েক সপ্তাহ পর কথিত হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটল। 

গতকাল বুধবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্য নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ আগে থেকেই চলছিল। কিন্তু বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সাইবার যুদ্ধের ইতিহাস কেমন, এটা কতটা তীব্র, তা এখন আলোচনায় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হ্যাকারদের তাদের সিস্টেমে প্রবেশ, কর্মকর্তাদের কার্যক্রম ও গোপন নথি সংগ্রহের জন্য অভিযুক্ত করে। বিভাগটির দাবি, হ্যাকাররা তৃতীয় পক্ষের সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী বিয়ন্ড ট্রাস্ট দ্বারা ব্যবহৃত একটি নিরাপত্তা সূত্র ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ করে। বিয়ন্ড ট্রাস্ট ট্রেজারি কর্মীদের নানা ধরনের প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে থাকে। 

গত সোমবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। সেই সঙ্গে চীনভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যাডভান্সড পারসিসটেন্ট থ্রেট বা এপিটিকে দায়ী করে। চীন এ ধরনের হ্যাকার হামলার নিন্দা জানিয়ে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ পেঙ্গিউ বলেন, এ ধরনের সাইবার হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দু’পক্ষকে অবশ্যই পেশাগত ও দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মিথ্যা তথ্যের প্রচার বন্ধ রাখা। 

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর চীন অভিযোগ করে, ২০২৩ সালে মে মাসে সাইবার হামলার মাধ্যমে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানির তথ্য চুরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, চীনের হ্যাকিং গ্রুপ সল্ট টাইফুন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের নথি চুরি করেছে। এর আগে নভেম্বরে এফবিআই ও সিআইএসএ চীনের হ্যাংকিং গ্রুপের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ তোলে।

Show More

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button