ব্যাংকগুলোর ডলার কেনাবেচার ব্যবধান সর্বোচ্চ ১ টাকা, না মানলে শাস্তি: বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার দর তাদের ডিসপ্লে স্ক্রিনে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে।
ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য সর্বোচ্চ ১ টাকার ব্যবধান নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো যে দামে ডলার কিনবে, তার চাইতে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার দর তাদের ডিসপ্লে স্ক্রিনে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। এ দর ব্যাংকের ওয়েবসাইটের শীর্ষেও রাখতে হবে।
পাশাপাশি, প্রতিদিনের বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এ নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অস্থিতিশীল ডলার বাজার সামলানোর উদ্যোগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ডলার বাজারকে অস্থিতিশীল হওয়া থেকে রক্ষা করতেই কেনাবেচার মধ্যে সর্বোচ্চ ১ টাকার ব্যবধান (স্প্রেড) নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডলারের দর ১২৮ টাকায় পৌঁছানোর পর কিছু সময় স্থিতিশীল থাকলেও পুনরায় অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
ডিসেম্বর মাসে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে নির্ধারিত দরের বেশি দামে ডলার কেনার জন্য ১৩ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই মাসেই ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী নির্দেশ দেন, ১২৩ টাকার বেশি দামে যেন কোনো ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহ না করে।
ডিসেম্বরের শেষদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে সকল ব্যাংকের জন্য একই দর নির্ধারণের নির্দেশ দেন। এছাড়া ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ১ টাকার স্প্রেড নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এসব নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।