ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হলো ইলন মাস্কের ‘এক্স’
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হলো মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে আইনবিষয়ক একজন বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগ না করায় এই পদক্ষেপ নিল দেশটি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার এক্সকে অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে স্থগিতের আদেশ দেন বিচারক আলেকজান্দ্রে দ্য মোরেস। আদেশে বলা হয়, এক্স কর্তৃপক্ষ যতদিন না আদালতের সমস্ত আদেশ মেনে চলে এবং নির্ধারিত জরিমানা প্রদান করে, ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিচারক অ্যালেক্সআন্দ্রে দ্য মোরেস ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায়ে একাধিক এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।তখন থেকেই ব্রাজিলে এক্স নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ধ্বংস করছে।
যেসব এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে একটি থেকে পোস্ট করা বলা হয়, “আমরা ধারণা করছি বিচারক আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস খুব শিগগির এক্স-কে ব্রাজিলে বন্ধ করার আদেশ দেবেন। কিন্তু আমরা তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সেন্সর করার জন্য তার অবৈধ আদেশ মেনে চলব না। বিচারক ডি মোরেস আমাদের কাছে ব্রাজিলের নিজস্ব আইন ভঙ্গ করার দাবি করেছেন। আমরা তা করব না।”
বিচারপতি মোরেস আদেশ দিয়েছিলেন, বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত এক্স অ্যাকাউন্টগুলো- সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সমর্থকদের- তদন্তের অধীনে থাকাকালীন অবশ্যই ব্লক করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনও অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করা হলে কোম্পানির আইনি প্রতিনিধিদের দায়ী করা হবে।
এজন্য আইনবিষয়ক প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয় ইলন মাস্ককে। গত বুধবার এই আদেশ দেওয়া হয়। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৭ মিনিটে ওই সময় শেষ হয়। কিন্তু মাস্ক তার আগেই জানান, তিনি প্রতিনিধি পাঠাবেন না। এ কারণে ব্রাজিলে বন্ধ করে দেওয়া হলো এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।