ব্রিকসভুক্ত অন্যান্য দেশের সাথে চীনের বাণিজ্য বেড়েছে
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অন্য নয়টি ব্রিকসভুক্ত দেশের সাথে চীনের আমদানি-রপ্তানি হয় ১.৪৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ানের, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৩ শতাংশ বেশি। চীনের শুল্ক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যানুসারে, ব্রাজিল ল্যাটিন আমেরিকায় চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বছরের প্রথম তিন মাসে ব্রাজিলে চীনের রপ্তানি ও আমদানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যথাক্রমে ২৫.৭ ও ৩০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এদিকে, চীন-রাশিয়া বাণিজ্যও অব্যাহত-ভাবে বাড়ছে। চলতি বছর থেকে জ্বালানি, অটোমোবাইল, এবং সাধারণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামসহ নানান ক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন-ভারত বাণিজ্যও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর, দক্ষিণ আফ্রিকা টানা ১৪ বছর ধরে আফ্রিকাতে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
তা ছাড়া, জ্বালানির ক্ষেত্রে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে চীন ভালো সহযোগিতা বজায় রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে উভয় দেশই চীনের জ্বালানি-পণ্যের শীর্ষ দশ আমদানি উৎসের মধ্যে ছিল। মিসর ও ইথিওপিয়ার সাথে অবকাঠামো ক্ষেত্রে চীন বাস্তবসম্মত সহযোগিতা করছে। চীনের ছোট পণ্যও ইরানে খুব জনপ্রিয় হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ বিভাগের পরিচালক লুই তালিয়াং বলেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর পণ্যবাণিজ্য বিশ্বের মোট পণ্যবাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ। আর দেশগুলোর পারস্পরিক বাণিজ্য তাদের নিজ নিজ মোট বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই এখানে প্রবৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনাও রয়েছে।