ভারতের থেকেও অনেক বেশি সুখী পাকিস্তানের মানুষ
সুখের নিরিখে বিশ্বে ১৪৩টি দেশের তালিকায় ১২৮তম স্থানে রয়েছে ভারত। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ভারতের চেয়ে অনেক বেশি সুখী পাকিস্তানের মানুষ! তালিকায় পাকিস্তান রয়েছে ১০৮-এ। তালিকার শীর্ষে যথারীতি ফিনল্যান্ড। এই নিয়ে টানা সপ্তম বার তালিকার এক নম্বরে নিজেদের স্থান ধরে রাখল তারা। এদিকে ভারতের গতবারের অবস্থান ছিল ১৩৬ নম্বরে। দশ ধাপ উঠে এল নয়াদিল্লি।
এক দশকের বেশি সময় ধরে এই তালিকা প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। সুখী দেশগুলির তালিকায় প্রথম পাঁচে রয়েছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও ইসরাইল। প্রথম কুড়িতে নেই আমেরিকা ও জার্মানি। এবারই প্রথম তারা এতটা নিচে নেমে গেল। আমেরিকা রয়েছে ২৩ নম্বরে। জার্মানি ২৪-এ। ব্রিটেন রয়েছে ২০ নম্বরে।
এদিকে ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে নেপাল রয়েছে ৯৩ নম্বরে। অন্যদিকে ভারতের থেকে নিচে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। তাদের স্থান যথাক্রমে ১২৮ ও ১২৯ নম্বরে। তালিকার একেবারে শেষে তালিবানের আফগানিস্তান। তারা রয়েছে ১৪৩ নম্বরে। আফগানিস্তান ছাড়াও চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে লেবানন ও জর্ডনের অবস্থানে। একই সঙ্গে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো, যথা সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ও লাটভিয়া উঠে এসেছে উপর দিকে।
কীভাবে মাপা হয় ‘সুখ’? জিডিপি, সামাজিক সমর্থন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও দুর্নীতির হারের নিরিখে ১৫৬টি দেশের মধ্যে সমীক্ষা চালান গবেষকরা। তার পর নির্বাচিত হয় সুখীতম দেশ। গবেষকরা জানিয়েছেন, যে দেশের মানুষজন কখনও একাকী অনুভব করেন না, সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেন, একে অপরকে বিশ্বাস করেন, সেই দেশই সুখীতম দেশ হিসেব নির্বাচিত হয়। এছাড়া রয়েছে সামাজিক বৈষম্য হ্রাসের চেষ্টাও।
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জেনিফার ডি পাওলা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে ফিনল্যান্ডের মানুষদের নিবিড় যোগাযোগ ও কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের ‘স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য’ই তাদের জীবনের সন্তুষ্টির সবচেয়ে বড় কারণ। এবং তিনি এও বলছেন, আমেরিকায় যেমন সাফল্যকে প্রায়শই আর্থিক লাভের সঙ্গে এক করে দেখা হয়, ফিনল্যান্ড তা করে না। আর তাই তারা এত সুখী।