ভারতের বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে আবার বিক্ষোভ শুরু করে। মিছিলে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ভারতীয় দালালেরা, হুঁশিয়ার, সাবধান’। ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’। ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়তে হবে ভারত ভক্তি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথ’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই মোদির কালো হাত দেশের ছাত্রসমাজ গুঁড়িয়ে দেবে। মোদির সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষেরা রুখে দাঁড়াবে। খুনি হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এবার ভাতে মারবে না, পানিতে মারার পরিকল্পনা করছে।
আমরা যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্রসমাজ সবসময় প্রস্তুত আছি।
বিক্ষোভে ইসলামিক স্টাডিজে শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, ভারতীয় শক্তি খুনি হাসিনার পক্ষ নিয়ে আমাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছিল। তাদের সঙ্গে লড়ে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনেছিলাম। এবার তারা বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই, ছাত্র-জনতা ছেড়ে দেবে না। সরকারকে বলতে চাই, আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টনের ন্যায্য হিস্যা আমাদের পেতে হবে। ভারতে বসে খুনি হাসিনা মুদিকে সঙ্গে নিয়ে যে গভীর ষড়যন্ত্র করছে তা এদেশের ছাত্রসমাজ শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।