ভারত এখন গুপ্তঘাতক ক্লাবের অংশ! ভিন্নমতাবলম্বী হত্যায় মোদি, অমিতের হাত
কূটনীতিকদের ব্যবহার করে বিদেশের মাটিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে ভারত– এমন অভিযোগ তুলেছে কানাডা। এতে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও ঘনীভূত হয়েছে। পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটেছে। কানাডার অভিযোগ, নানা কৌশলে কূটনীতিকদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে নয়াদিল্লি। হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি এবং জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডও তারা ঘটাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতকে গুপ্তঘাতক ক্লাবের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। গার্ডিয়ানের খবর।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা নয়, ভারত তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের জাল বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে। যুক্তরাজ্য ও পাকিস্তানেও ভারত কিলিং মিশন চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দেশের শিখ কর্মীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় তাদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করেন, এর পেছনে খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত রয়েছে। তবে কানাডার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত।
এর আগে গার্ডিয়ানের এক তদন্তে বলা হয়, ২০২০ সালের পর থেকে পাকিস্তান সীমান্তে ভারত ২০টি হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত মূলত ভিন্নমতাবলম্বীদের বেছে বেছে হত্যা করছে।
কানাডার পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, ভারতের কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে এসব অপরাধের প্রমাণও তারা পেয়েছেন। যাদের এ যাবত হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই ‘শিখ’ ধর্মাবলম্বী। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও ভারতের ওপর চরম ক্ষেপেছেন। তাঁর দাবি, এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারত কানাডার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে।
জানা যায়, শিখদের কিছু সদস্য যারা ‘স্বাধীন খালিস্তান’ বা ভারতে ‘শিখ রাজ্য’ প্রতিষ্ঠায় দেশ-বিদেশে কাজ করছে, প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদেরই বেছে বেছে হত্যা করছে দিল্লি। এই কাজে দেশটি সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনীতিকদের কাজে লাগাচ্ছে। এমনকি একটি বিশেষ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরাও এ কাজে যুক্ত।
২০২৩ সালের জুনে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুরি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর। তিনি খালিস্তান আন্দোলনের কঠোর সমর্থক ছিলেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নামে এক শিখ নেতাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। গত বছর মার্কিন গোয়েন্দারা পান্নুনকে হত্যার চক্রান্তের একটি নথি প্রকাশ করে। এই পান্নুনও শিখ আন্দোলনের একজন নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, হত্যাচেষ্টায় জড়িত বিকাশ যাদব ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক এজেন্ট। তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগও অস্বীকার করেছে।