Bangladesh

ভাসানচর থেকে দলে দলে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা

সীতাকুণ্ডে কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরি ঘাট দিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা পালিয়ে আসছে চট্টগ্রামে। তারা কুমিরা এলাকায় আসার পর ছড়িয়ে পড়ছে দেশের  বিভিন্নস্থানে।

এ ঘাট দিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা পুলিশের হাতে মাঝে মধ্যে আটক হলেও বেশিরভাগ সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পার পেয়ে যায়। রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার খবর কুমিরা নৌ পুলিশকে জানানোর পরও পুলিশ তাদের আটক করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ৮-১০ জনের একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী দল সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া থেকে লঞ্চে করে চট্টগ্রামের কুমিরা-সন্দ্বীপ ফেরী ঘাটে আসে। বিষয়টি কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ নাছির উদ্দীনকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সকাল সাড়ে ৭টায় সন্দ্বীপ থেকে একই লঞ্চে করে  কুমিরা ঘাটে আসা প্রবাসী যাত্রী মো. আশ্রাফ উদ্দিন জানান, শিশু- মহিলা, পুরুষসহ ৮-১০ জনের একটি দল গুপ্তছড়া ঘাট থেকে লঞ্চে করে কুমিরা ঘাটে আসে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তারা নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে বোটে করে গুপ্তছড়া ঘাটে আসে। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে চলে আসে বলে স্বীকার করে।

এদিকে লঞ্চ যাত্রী আশ্রাফ উদ্দিন রোহিঙ্গা আসার বিষয়টি স্থানীয় এক সাংবাদিককে ফোনে জানালে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ নাছির উদ্দীনকে ফোনে অবহিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এলাকাবাসীরা জানান, প্রতিদিন সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা ঘাটে আসা সব যাত্রীদের যদি নৌ পুলিশ এনআইডি কার্ড যাচাই করত তাহলে প্রতিদিন পালিয়ে আসা অনেক রোহিঙ্গা ধরা পড়তো।

কুমিরা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দীন যুগান্তরকে বলেন, আমি এ ব্যাপারে সংবাদ পেয়ে ঘাটে নৌ পুলিশ পাঠালেও কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত তারা ততক্ষণে পালিয়ে গেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button