Hot

ভেঙে পড়ছে বিশ্ব ব্যবস্থা!

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে বিশ্ব ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে? যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের মোড়ল হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই মোড়লকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় অবস্থান থেকে কার্যত সরিয়ে নিচ্ছেন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ ঘোষণার মধ্যদিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে মোড়ল মেনে যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল, তা ভেঙে পড়ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এ অবস্থায় সারাবিশ্বে এক হিম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপ বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি সহ সব বিষয়কে প্রভাবিত করে। ক্ষমতায় এসেই ট্রাম্প যে বিপুল পরিমাণ নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে তিনি কি নিজেদেরকে গুটিয়ে নিলেন! বিষয়টি সেরকমই। এই যেমন শপথ নেয়ার পরই তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্যদিয়ে সারাবিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এর ফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে ট্রাম্প জারি করেন জাতীয় জরুরি অবস্থা। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেন। তাদেরকে ঠাঁই দেয়ার জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেন। ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে তার উস্কানিতে সংঘটিত দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৬০০ ব্যক্তিকে সাধারণ ক্ষমা করে দেন। এর মধ্যে অনেক বন্দি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে আসার কথা। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক স্বর্ণালী যুগের সূচনার ঘোষণা দেন। নিজেকে জানান একজন পিসমেকার এবং একত্রীকরণ বিষয়ক ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশির ভাগ ফেডারেল নিয়োগকে স্থগিত করেছে, নতুন ফেডারেল নিয়ম প্রণয়ন এবং সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জারি করেছেন এমন প্রায় ৮০টি নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহার করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম মেয়াদের মতোই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করেছেন। বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের বিরুদ্ধে ফেডারেল যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা স্থগিত করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এই আদেশে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৭৫ দিনের জন্য টিকটকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিতে বলেছেন। এ সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ পাবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার শপথ অনুষ্ঠানের ভাষণে তার প্রথম প্রশাসনিক মেয়াদের কিছু পদক্ষেপ ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে ফেডারেল কর্মকর্তারা সরকারের একটি অ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে প্রবেশের জন্য শিডিউল নিতেন। এই অ্যাপ সক্রিয় থাকা অবস্থায় প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী তা ব্যবহার করেছেন। ডনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল ওয়ার্কারদেরকে ব্যক্তিগতভাবে পূর্ণ সময় কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব (ইন্টারনাল রেভিন্যু সার্ভিস) বাড়ানোর জন্য তিনি লোক ‘হায়ার’ করা স্থগিত করেছেন। জন্মগতভাবে নাগরিকত্ব সংজ্ঞায়িত করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারেন না। তবে এটা পরিষ্কার করেছেন যে, তিনি জন্মগতভাবে নাগরিকত্বের অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদের সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিলে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে ওই সন্তানকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়। ট্রাম্প এই অধিকারের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। তবে বিষয়টি আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। ক্ষমতার শেষ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেনারেল মার্ক এ মিলি সহ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ এমন বেশ কিছু ব্যক্তিকে সুরক্ষিত রাখতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। ক্ষমা করে দেয়ার জন্য মিসিসিপির ডেমোক্রেট প্রতিনিধি বেনি থম্পসন, ওয়েমিং থেকে রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রতিনিধি লিজ চেনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন জো বাইডেনকে। তারা বলেছেন, আইন ভঙ্গ করে নয়, আইনকে সমুন্নত রেখে তাদেরকে ক্ষমা করেছেন বাইডেন। ট্রাম্প তার ভাষণে বলেছেন, ফেডারেল আইন প্রয়োগকে হাতিয়ার বানানো হয়েছিল। তিনি তার ইতি ঘটাবেন। জো বাইডেন প্রশাসনের ‘রাজনৈতিক বিরোধী’দের বিরুদ্ধে যেসব ফেডারেল মামলা আছে তা তুলে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইস্যুতে ট্রাম্প বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং আন্তর্জাতিক অন্য স্বাস্থ্যগত সংকটকে ভুলভাবে মোকাবিলা করেছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থা। তিনি অভিযোগ করেছেন সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক প্রভাব নিরপেক্ষভাবে কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই সংস্থায় অন্যায়ভাবে বেশি অর্থ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের মতো বৃহৎ দেশগুলোর তুলনায় বৈষম্যমূলকভাবে বেশি সেই অর্থ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। এটা আর ঘটতে দেয়া যাবে না। তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিচালনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে শুধুই শক্তিশালী করা উচিত, দুর্বল নয়। নিজের দায়িত্ব পালনে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সহযোগিতা আরও গভীর করতে এই সংস্থাকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে চীন। ট্রাম্পের ঘোষণার অর্থ হলো আগামী এক বছর বা ১২ মাসের মধ্যে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাবে এবং এতে তাদের যে আর্থিক অবদান তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে। উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্থদাতা যুক্তরাষ্ট্র। এই সংস্থায় মোট যে তহবিল তার মধ্যে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ দেয়  দেশটি। এ সংস্থার সর্বশেষ ২০২৪-২০২৫ব্যাপী দুই বছরের বাজেট ধরা হয়েছে ৬৮০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র পরিশোধ করেছে প্রায় ১২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভেতরের এবং বাইরের বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এই সংগঠনের সব কর্মসূচি এর ফলে ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রামক রোগ টিবি, এইচআইভি/এইডস এবং স্বাস্থ্যগত অন্যান্য জরুরি সেবা রয়েছে এর মধ্যে। ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যখন নিজেদেরকে প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চলবে তখন ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে মহামারি বিষয়ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা বন্ধ রাখবে প্রশাসন। ডব্লিউএইচও’তে সরকারের যেসব কর্মকর্তা কাজ করছেন তাদেরকে দেশে ফেরত নেয়া হবে এবং নতুন দায়িত্ব দেয়া হবে। তবে এক্সে দেয়া এক পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে অনুশোচনা প্রকাশ করছে এই সংস্থা। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গড়ে তোলার প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্ব বজায় রাখার গঠনমূলক আলোচনায় জড়িত থাকার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন তিনি।  

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সমালোচনা উঠেছে যে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পলিসি নিতে গিয়ে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রকে অধিক পরিমাণে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে যাচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা বিষয়ক খরচের খাত ব্যাপকভাবে পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের অধীনে যেখানে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি সহায়তা হিসেবে বেশি অর্থ খরচ করছে, সেখানে সেখানে কর্তন করতে পারেন ট্রাম্প। এর মধ্যদিয়ে অর্থ সাশ্রয় করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দিতে চান। পাশাপাশি আগ্রাসী কিছু নীতি নিয়েছেন। তিনি পানামা ক্যানাল, গ্রিনল্যান্ড এবং গালফ অব মেক্সিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন। গালফ অব মেক্সিকোকে তিনি গালফ অব আমেরিকা ঘোষণার নির্দেশে স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাউন্ট ম্যাককিনলে’কে ডেনালি নাম দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ এই পাহাড়কে আবার আগের নামে ফিরিয়ে নেয়া হবে। ভবিষ্যতে প্রতিজন প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের দিন জাতীয় পতাকা পূর্ণ উচ্চতায় উত্তোলনকে বাধ্যতামূলক করে আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।  প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল। এ কারণে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন। 

সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ের বেশ কিছু অভিবাসন বিষয়ক নির্দেশ উল্টে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর মধ্যে ভয়াবহ অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয় আছে। তাদেরকে দেখা হয় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ ছাড়া সীমান্তে যাদেরকে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি মনে হবে, তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে যেসব মানুষ বসবাস করছেন তাদেরকে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই নীতি ছিল। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ট্রাম্প। সেখানে অভিবাসন বিষয়ক এজেন্টদের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে শরণার্থী ও আশ্রয় গ্রহণকে বিধিনিষেধের আওতায় আনার নীতি নেয়া হয়েছে। ট্রাম্প আকস্মিকভাবে ইউএস রিভিউজি এডমিশন প্রোগ্রাম অস্থায়ী ভিত্তিতে সাময়িক স্থগিত করেছেন। এর মধ্যদিয়ে এই কর্মসূচিতে জনগণের নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এমন একটি নীতি চালু করার, যার অধীনে জোরপূর্বক আশ্রয়প্রার্থীদেরকে মেক্সিকো সীমান্তে অপেক্ষমাণ রাখা হবে। কিন্তু কর্মকর্তারা এখনো বলেননি যে, মেক্সিকো তার অভিবাসীদের আবার ফেরত নেবে কিনা। 

উপরন্তু কানাডা, মেক্সিকো, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা আগেভাগেই তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিরাট প্রভাব পড়বে। ভোক্তাদের গুণতে হবে অতিরিক্ত অর্থ। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারে। এর ফলে ক্রমশঃ অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতি।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button