Bangladesh

ভোটের রাজনীতি : বিএনপির সামনে তিন দশকের মিত্র জামায়াতের চ্যালেঞ্জ?

রাজনীতির নতুন সমীকরণ || নতুন কৌশলে বিএনপি-জামায়াত

ভোটের মাঠে তৈরি হচ্ছে নতুন সব নির্বাচনী সমীকরণ। বিএনপির তিন দশকের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত এবার হতে পারে দলটির প্রধান প্রতিপক্ষ। ভোট ও জোটের খেলায় কদর বেড়েছে ছোট দলগুলোর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলছেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিরোধী প্রতিটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তারা।

আর জামায়াতের নায়েবে আমির ডাক্তার সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের নিয়ে বৃহৎ পরিসরে নির্বাচনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সময় যত গড়াচ্ছে, রাজনীতির মাঠে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানান, প্রতিটি নাগরিক সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সক্ষমতা অর্জন জরুরি।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বড় আলোচনা ছিল দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী বিএনপি আর জামায়াতের মধ্যকার দূরত্ব। দিন যত যাচ্ছে, সেই দূরত্ব স্পষ্ট হয়েছে আরো। নির্বাচনকে ঘিরে ভোট আর জোটের নতুন রূপরেখা দাঁড় করাবার চেষ্টা করছে তারা।

ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ বলয়ে আনার চেষ্টা তাই দুই দলেরই। বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ, ঢাকায় চরমোনাই পীরের সাথে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির মহাসচিব। খবর আছে পর্দার অন্তরালেও যোগাযোগ চলছে তাদের মধ্যে।

তবে মুফতি রেজাউল করিমের সঙ্গে জামায়াত আমিরের দেখা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ মন্তব্য করে জোটবদ্ধ নির্বাচন নিয়ে দলটির ভাবনার কথা জানান জামায়াতের নায়েবে আমির।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডাক্তার সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা জোটের ভিত্তিতে হইতে পারে, সেটা সিট আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর মাধ্যমে হইতে পারে এবং সকল ধরনের রাজনীতি-অরাজনৈতিক ভালো মানুষগুলোকে একমোডেট করে আমরা নির্বাচনটি করতে চাই।

আর ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশের স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিটি দলকেই নিজেদের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বলে মনে করে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, জোট গঠনের বিষয়টা কিন্তু এটা নতুন কিছু না। শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আমাদের সাথে কিন্তু অনেক দল ছিল। এখন যদি নির্বাচন ঘোষিত হয়, কারা কারা আমাদের সাথে একত্রিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবেন সেটা কিন্তু শিডিউল ঘোষণার আগে বলা যাবে না। আমরাও কথা বলছি, জামায়াতে ইসলামীও কথা বলছে।

ব্যালটে নৌকার উপস্থিতি থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তর এড়িয়ে তারা জানান, ভোটের আগে আওয়ামী লীগ নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।

ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৫ বছর যাবত যে কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। স্বাভাবিকভাবে আমরা চাইবো, যেগুলো অন্যায় দেশের আইনের বিরুদ্ধে, গায়ের জোরে করেছে, তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।

ডাক্তার সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যারা গত ১৫ বছরে মানুষকে নির্বাচন করতে দেয়নি এবং অন্যায়ভাবে ১৫ বছর শাসন করেছে, তাদের সেই বিচারটি হওয়া উচিত। সেই বিচারের পরে যদি দেখা যায় যে, জনগণ তাদেরকে গ্রহণ করছে, সেটা জনগণ ডিসাইড করবে।

আরো এক মতের মিল আছে এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে। নির্বাচনে কোন বিদেশী হস্তক্ষেপ চান না তারা।

কোন বিদেশী হস্তক্ষেপ যাতে আসতে না পারে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত বলে জানান জামায়াতের নায়েবে আমির।।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor