Bangladesh

ভোট দিতে ভোটারদের অনীহা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা গতকাল শুক্রবার রাতে শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত এবং ভোট গ্রহণের ষড়ঞ্জামাদি জেলা ও উপজেলা নির্বাচনী কার্যালয়ে ইতোমধ্যেই পৌঁছে গেছে। নির্বাচন কমিশন, আইন শৃংখলা বাহিনী প্রস্তুত। নির্বাচনের প্রার্থীরা মাঠের গণসংযোগের টাইম আউট হওয়ায় এখন ভোটকেন্দ্রে যাওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে নিজ নিজ পোলিং এজেন্ট নিয়োগে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। কিভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে হাজির করবেন সে পরিকল্পনা করছেন, কৌশল আঁটছেন। কিন্তু যাদের জন্য এতো আয়োজন সেই ভোটারদের আগ্রহ নেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলার উপজেলা পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ভোটকেন্দ্রে যেতে তাদের অনিহা প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য নির্বাচনে কোন প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন তা ভোটের আগেই কার্যত আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২৬ আসনের সমঝোতা, ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে ৭ আসনের সমঝোতা, কিং পার্টি খ্যাত তৃর্ণমূল বিএনপি, কল্যান পার্টি বিএনপি, সুপ্রিম পার্টিসহ যে সব দলকে ‘লোভ দেখিয়ে’ নির্বাচনে আনা হয়েছে তাদের দু’একজন প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়া প্রায় চূড়ান্ত। বাকী আসনগুলো নৌকা এবং কয়েকটি আসনে আওয়ামী লীগের ‘ডামি প্রার্থী’খ্যাত স্বতন্ত্ররা পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন করা বিএনপিসহ ডান-বাম-মধ্যপন্থী অর্ধশত দল নির্বাচনের দিন হরতাল দিয়েছে। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন। ফলে ভোট দিতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে চাচ্ছি না। তাছাড়া ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারিনি। অতএব ভোট দেয়ার কথা ভাবছি না।

জানা গেছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে অনিহার কারণে ভোটারদের নৌকার প্রার্থীরা নানাভাবে ভোট কেন্দ্রে নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের টিম আছে, এই টিম সে কাজটা করবে। বেশিরভাগ ভোটারই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসবে। কেউ ভোট দিতে আসতে একটু দেরি করতে পারেন, তাদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের টিম কাজ করবে।’

রংপুর-৩ আসনের একজন ভোটার জানান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রংপুর-৩ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম নারীর মার্কা ঈগল। আসন সমঝোতার পর লাঙ্গলকে সমর্থক দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাপরও নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে জিএম কাদের নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছেন ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় উপকারভোগিদের অনেকস্থানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ডেকে নিয়ে তাদের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে রেখে দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের বলছেন যদি নৌকাকে ভোট দেয়া না হয়, তাহলে আর কার্ড দেয়া হবে না। যারা পোলিং এজন্টে হবেন, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ডেকে নেয়া হচ্ছে। তাদের সাথে মিটিং করা হচ্ছে। সেখানে ইউএনওরা তাদেরকে কিছু ব্রিফ করছেন, কিন্তু সেখানেই আওযামী লীগের লোকেরা তাদেরকে ব্রিফ করছেন, যেন ভোটকেন্দ্রে তারা সবাই আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী যেসব স্থানে গেছেন, সেখানে যেভাবে নৌকার প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, তাতে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। তারা মনে করছেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন বলে গেছেন তখন তো তাকেই (নৌকার প্রার্থী) প্রশাসন ডিক্লিয়ার করে দিবে।’ জিএম কাদের যখন ভোট নিয়ে এসব কথা বলেন তখন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কি লাভ?
দেশের সংসদীয় ৩০০ আসনের ১ নম্বর আসন হচ্ছে পঞ্চগড়-১। সেখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর নাম মোঃ নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া। তিনি আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার কৌশল তুলে ধরেছেন। প্রভাবশালী ওই গণমাধ্যমকে নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান বলেছেন, ‘ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে কেন্দ্র-ভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ সংসদীয় আসনের স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় যারা শিক্ষকতা করে, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, আলেম সমাজ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী স্বাস্থ্যকর্মী যাদের এলাকায় পরিচ্ছন্ন ইমেজ রয়েছে, এরকম একটা টিম নিয়ে আমরা বাড়ি বাড়িতে ভোট ভিক্ষা করি। বৈষ্ণবদের মতো করে ভিক্ষা চাই আর তাবলীগ জামাতের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাওয়াত দেওয়া হয়। এই এরকম একটা স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নির্বাচনের মাঠে আমার কর্মী বাহিনী সাজিয়েছি। তরুণ ছাত্র ও যুব সমাজের একদল সাহসী মানুষ তারা অপশক্তিকে প্রতিরোধ করবে আর আমাদের মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ নেতাদের নিয়ে একটা উপদেষ্টা পরিষদ করেছি। এই তিন ক্যাটাগরিতে আমাদের কর্মী বাহিনী বিন্যাস করেছি নির্বাচনী কাজে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেভে যে সব আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ডামি প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়তে পারেন সে সব আসনে একই ভাবে কর্মী বাহিনী গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও গণমাধ্যম খবর বের হয়েছে অনেক আসনে সরকারি কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষ্যে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ১০ জন প্রার্থী। এদের অর্ধেকই সাধারণ ভোটারের কাছে অপরিচিত। এ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন পুলিশ বাহিনীর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি ছুটি নিয়ে এ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের কারণে এ আসনে স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল নির্বাচনে অপরিচিতদের প্রার্থী দিয়েছে। ফলে তাদের নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই। ওই দুই উপজেলায় স্থানীয় সংবাদিকরা সরেজমিন ঘুরে দেখেছেন, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোট এবং ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার তেমন কোন আগ্রহ নেই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতার ইচ্ছামতো ভোটের ভাগাভাগি হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। নির্বাচন কমিশনের তথ্যে ওই আসনে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটার বেশি। ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১০৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮৯ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬২০ জন। বেশির ভাগ মহিলা ভোটারদের বক্তব্য বিএনপি ভোট বর্জন করায় তারা ভোট দিতে যাবেন না। তাছাড়া ২০২৪ ও ২০১৮ সালে কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিতে পারেননি।

রংপুর জেলায় পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৬১৫ জন জনসংখ্যার জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনে ও ভোটারের সংখ্যা ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০৫ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার ৩৯৪ জন। আর পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ১২ হাজার ১০১ জন। নারী ভোটার বেশি অথচ ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পড়ছেন নারী ভোটাররা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ক্রমে ভোটের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ততা হারিয়েছেন তারা। বিএনপিসহ সমমনা দলের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আগাম শঙ্কা চেপে বসেছে জেলার নারীদের মধ্যে। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন তারা ভোট দিতে যেতে চান না। তাহমিনা বেগম নামের একজন ভোটার জানান, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারিনি। এবার সরকারবিরোধী আন্দোলন, গণপরিবহনে জ্বালাও-পোড়াও এবং রাজনৈতিক ভয়ভীতি। সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন এক পক্ষীয় নির্বাচনকেও ভোটের প্রতি অনাগ্রহে ভোট দিতে যাবেন না। জেলার বিভিন্ন সংসদীয় আসন ঘুরে ভোট নিয়ে অধিকাংশ পুরুষ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। বরং অতীতের হরেক ভীতিকর ঘটনার স্মৃতিচারণ করে এবারও অপ্রীতিকর ঘটনার আগাম আশঙ্কায় তারা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। জেলা-উপজেলার শহরতলী থেকে গ্রামের হাট-বাজার সবখানে নির্বাচন নিয়ে চলছে নানান রকম বিশ্লেষণ। প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার তোড়জোড়ে কমতি না থাকলেও ‘ভোট উৎসবের’ বৈরী পরিবেশ আর ভোটদানে ভোটারদের আগ্রহে কমতি থাকায় চিন্তিত প্রার্থীরা।

বগুড়া আর রংপুরের মতোই অভিন্ন চিত্র প্রায় সারাদেশে। ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে যেমন বিএনপি নেই, তেমনি নেই আরো কিছু উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল। বিরোধী বিএনপিসহ অন্য দলগুলো এই নির্বাচনকে ‘একতরফা’ বলে অভিযোগ তুলেছে। ফলে নির্বাচনে সাধারণ ভোটারের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দূরের কথা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ারও আগ্রহ নেই। ইসির সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ৩০০ আসনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ১৯৭০। এর মধ্যে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ২৬৬ প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন ২৬৫ জন। তবে এর মধ্যে দলটির শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৪৩৬ জন। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহর, শহরতলীয় এবং গ্রামের হাটবাজারের অলিগলি, দেওয়াল পোষ্টারে পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় মাইকের আওয়াজ আর মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে জেলা-উপজেলা শহরগুলো। কিন্তু ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। ইনকিলাবের স্থানীয় সংবাদিকরা খোঁজ খবর নিয়ে জানিয়েছেন, ভোট নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। তবে প্রার্থীরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করছেন। রাজধানী ঢাকার সড়ক, মহাসড়ক, অলিগলি, বিভিন্নœ বিল্ডিং স্থাপনা পোষ্টারে পোষ্টারে ভরে গেছে। মহাসড়ক ও অলিগলিতে দঁড়িতে পোষ্টার লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এসব পোষ্টারের বেশির ভাগই নৌকা প্রার্থীদের পোষ্টার। তবে দু’এক আসনে লাঙ্গল এবং প্রায় সব আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোষ্টার লাগানো হয়েছে। পোষ্টারে পোষ্টারে সড়ক-মহাসড়ক ও অলিগলি অন্ধকার হয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণাও চলেছে টাকা কয়েকদিন। কিন্তু ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ভোট দিতে যেতেও অনিহা প্রকাশ করেছেন বেশির ভাগ ভোটার। গত কয়েকদিনে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭ ও ঢাকা-৮ আসনের শতাধিক ভোটারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগই বলেছেন তারা ভোট দিতে যাবেন না। কেন যাবেন না জানতে চাইলে তারা জানান, ভোটে কোন প্রার্থী বিজয়ী হবেন তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা’ এবং ‘১৪ দলীয় জোট ও নির্বাচনে অংশ নেয়া কয়েকটি দলকে ‘আসন ছেড়ে দেয়ার’ মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে লাভ নেই। এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষ এই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন মেনে নেবে না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
bacan4d
bacan4d