ভ্যাট নয়, পণ্যের দাম মূলত বেড়েছে বাজার কারসাজি ও সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে: অর্থ উপদেষ্টা
সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে এমন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তবে আমদানি করা ফলের জুসের মতো পণ্যের ভ্যাট কমানো হবে না।
ভ্যাট বাড়ানোর কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তার মতে, খুব অল্প ক্ষেত্রে ভ্যাটের কারণে দাম বেড়েছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির কারণ বাজারের কারসাজি ও সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অর্থ উপদেষ্টা জানান, ওষুধ ও পোশাকসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর বাড়তি ভ্যাট আরোপের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, ”ভ্যাটের কারণে অল্প কিছু পণ্যে দাম বাড়তে পারে, যেমন মোবাইল ফোন বা বিদেশি ফলের জুস। এসব পণ্য তুলনামূলক কম মানুষ কেনে। তবু এ বিষয়গুলোও আমরা রিভিউ করছি।”
“আজই (১৬ জানুয়ারি) এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে এমন অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তবে আমদানি করা ফলের জুসের মতো পণ্যের ভ্যাট কমানো হবে না,” বলেন তিনি।
সৌদি আরবে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) অংশগ্রহণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ”আইডিবি সাধারণত গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের জন্য আমাদের বড় অঙ্কের অর্থ দেয়। তবে এবার আমি সারের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করেছি এবং তারা তাতে সম্মত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শতাধিক পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। কিছু পণ্যের ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, এবং ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে ভোক্তাদের পণ্য কিনতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।