মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ
গ্যাস সঙ্কটের জন্য ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
সোমবার আগের দিনের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি দেখা দেয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দিনের ব্যস্ত সময়ে বিকেল ৩টায় দেশে ২১০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়। সে সময় ১৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ২৭৩ মেগাওয়াট।
যেকোনো সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এবং তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্য হলো লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চাহিদা ১৭ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠবে এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এনএলডিসির তথ্যে আরো দেখা যায়, দেশে অন-গ্রিড স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট, তবে জ্বালানি ঘাটতি এবং প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির কারণে এর প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট বর্তমানে হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এনএলডিসির তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ‘গ্যাসের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪ হাজার ৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।’
নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে আরো ২ হাজার ১৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২ হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে তারা প্রতিদিন ১ হাজার ২৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরো বলেন, গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রধান শিকার কারণ অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তার মতে,‘গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয়। যেকোনো বিপত্তি হলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ফিরে পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকা অঞ্চলে ৩৬০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ১৬৫ মেগাওয়াট, খুলনায় ১৩২ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ১৮২ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ২৪৫ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৭৫ মেগাওয়াট, সিলেটে ৪৪ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ১৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।