মঙ্গল গ্রহের ক্ষতি করবেন ইলন মাস্ক?
মঙ্গল গ্রহে মানববসতি গড়তে ভীষণ আগ্রহী স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। ২০৩০ সালের মধ্যে লাল গ্রহ মঙ্গলে যে করেই হোক মানববসতি তৈরি করতে চান তিনি। শুধু তা–ই নয়, ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। তবে ইলন মাস্কের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কারণে মঙ্গল গ্রহ দূষিত হওয়ার পাশাপাশি ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু কোটস।
মঙ্গল গ্রহ নিয়ে ইলন মাস্কের পরিকল্পনার বিষয়ে অ্যান্ড্রু কোটস বলেন, মানববসতি স্থাপনকারীরা মঙ্গল গ্রহকে দূষিত করবেন। এর ফলে সেখানে ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধান পেতে পরিচালিত গবেষণায় সমস্যা দেখা দেবে। সেখানে শুধু একজন নভোচারীকে পাঠানো উচিত।
১৩ অক্টোবর স্পেসএক্সের সুপার হেভি বুস্টার সফলভাবে লঞ্চ প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করার পরপরই মঙ্গল গ্রহে শহর নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান ইলন মাস্ক। স্পেসএক্সের এই সাফল্য মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য সস্তায় মহাকাশযান পাঠানোর সুযোগ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খুদে ব্লগ সাইট এক্সে ইলন মাস্ক জানান, ৩০ বছরের মধ্যে সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকলে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখের বেশি মানুষের জন্য একটি স্বনির্ভর শহর তৈরি করা হবে।
ইলন মাস্কের তথ্যমতে, স্পেসএক্সের নতুন স্টারশিপ মহাকাশযান ও সুপার হেভি বুস্টার মঙ্গলে স্থায়ী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মঙ্গল গ্রহ প্রতি ২৬ মাসে একবার পৃথিবীর যথেষ্ট কাছাকাছি আসে। মঙ্গল গ্রহে শহর স্থাপনের জন্য এই সংক্ষিপ্ত সময়ে লাখ লাখ টন কার্গো ও যাত্রীবাহী খেয়াযান উৎক্ষেপণ করতে হবে।
বিজ্ঞানীরা বর্তমানে নাসার রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার মিশনের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে ভিনগ্রহের প্রাণী বা জীবাণুর সন্ধান করছেন। আর তাই মঙ্গল গ্রহে বেশিসংখ্যক মানুষ পাঠানো হলে মানবসৃষ্ট বিভিন্ন জৈবিক উপাদান মঙ্গল গ্রহে ছড়িয়ে পড়বে। এর ফলে মঙ্গল গ্রহে অতীতে কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী বসবাস করত কি না, তা জানা কঠিন হবে।