USA

মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে মার্কিন সামরিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন বাহিনী এই অঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া, আকাশসীমা, বন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা, জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও অস্ত্র সংরক্ষণের সুযোগসহ বিস্তৃত সুবিধা ভোগ করে।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এই অঞ্চলের ১৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে থাকা বহু সামরিক ঘাঁটিতে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা স্থায়ীভাবে মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এই সংখ্যা আরো কয়েক হাজার বাড়তে বা কমতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উন্নত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের বিশাল ভাণ্ডার আছে। পাশাপাশি আশেপাশের জলসীমায় মোতায়েন রয়েছে যুদ্ধজাহাজ, যাতে সঙ্কটের সময় আরো শক্তি বৃদ্ধি পায়।

মার্কিন বাহিনী এই অঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া, আকাশসীমা, বন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহারের সুবিধা, জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও অস্ত্র সংরক্ষণের সুযোগসহ বিস্তৃত সুবিধা ভোগ করে। এতে তারা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে চলাচলে বড় ধরনের স্বাধীনতা ও নমনীয়তা পায়।

এই সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ রক্ষা, কথিত ‘উগ্রবাদী গোষ্ঠী’ দমন, মিত্রদের সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান এবং ইসরাইলের দখলদারিত্বে সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করে।

স্থায়ী উপস্থিতি

১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে ঘাঁটি স্থাপন শুরু করে। আগে এসব ঘাঁটি ছিল অস্থায়ী। ১৯৯১ সালের দ্বিতীয় উপসাগরীয় যুদ্ধ ছিল এই রূপান্তরের প্রধান কারণ। ‘অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড’-এর সময় ৫ লাখের বেশি মার্কিন সেনা সৌদি আরবে মোতায়েন করা হয়। পরে পুরো অভিযানে যুক্ত হয়েছিল প্রায় ৭ লাখ সেনা (পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী)। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরি করে বড় পরিসরে অভিযান চালাতে সক্ষম হয়।

মার্কিন ষষ্ঠ নৌবহর (ভূমধ্যসাগরে) এবং সপ্তম নৌবহর (ভারত মহাসাগর ও আরব সাগরে) এই সামরিক উপস্থিতিকে সমর্থন করে। এসব বহরে বিপুল অস্ত্র ও সমন্বিত বাহিনী থাকে।

মার্কিন বাহিনীর আকার

এ অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ওঠানামা করে। স্থায়ী বাহিনীর পাশাপাশি উত্তেজনা বা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাহিনী বাড়ানো হয়। পরবর্তী সময়ে তা আবার কমিয়ে আনা হয়।

২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছিল। এক সময় এই সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২০২১ সালে বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়।

ইরাকেও একই রকম ঘটনা ঘটে। ২০০৩ সালের আগ্রাসনের পর কিছু সময় ইরাকে ১ লাখ ৬০ হাজার সেনা ছিল। ২০১১ সালের মধ্যে বেশিরভাগ সেনা প্রত্যাহার করা হয়। পরে ২০১৪ সালে আইএসবিরোধী যুদ্ধে আবার যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠায়। ২০১৭ সালের পর থেকে সেনা সংখ্যা কমতে থাকে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র পরামর্শ ও প্রশিক্ষণমূলক মিশন চালায়।

২০০৮-২০১৬ সালের ওবামা প্রশাসনে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা কমে আসে। ২০০৮ সালে ওই সংখ্যা ৭৪ হাজার ছিল। সেটি ২০১৬ সালে ২৮ হাজারে নেমে আসে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈদেশিক সামরিক হস্তক্ষেপে অনাগ্রহী হলেও ২০১৯ সাল থেকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়লে সেনা বাড়াতে হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে ও দক্ষিণ চীন সাগরে বাহিনী বাড়ায়। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে কিছুটা সেনা কমানো হয়।

২০১৯ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র কৌশল পরিবর্তন করে। স্থলবাহিনী কমিয়ে বিমান ও নৌবাহিনীতে জোর দেয়।

ইসরাইলকে সমর্থন

২০২৩ সালের মাঝামাঝি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা ছিল প্রায় ৩০ হাজার (পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী)। ৭ অক্টোবর ‘তুফানুল আকসা’ অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থনে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করে। এর সাথে ছিল ৫ হাজার মেরিন, যুদ্ধবিমান, ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার।

পরে যোগ দেয় ইউএসএস আইজেনহাওয়ার, যা ৫ হাজার সৈন্যসহ নয়টি বিমান স্কোয়াড্রন, ক্রুজার ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী বহন করে। যুক্তরাষ্ট্র তখন ৯০০ জনের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ইউনিটও পাঠায়, ২০০০ সৈন্যকে সতর্ক অবস্থায় রাখে এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার করে।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনী

দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, সমঝোতা বা স্বাগতিক দেশের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের ১৫টির বেশি দেশে সেনা মোতায়েন করেছে। বাহিনীর আকার দেশভেদে ভিন্ন। কিছু দেশে অল্প সংখ্যক সৈন্য থাকলেও উপসাগরীয় অনেক দেশে ১০ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, তা হলো,

কাতার

১৯৯২ সালে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে কাতারে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শুরু হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ১৩ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে।

আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি হলো মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা এবং বিদেশের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমান ঘাঁটি।

এটি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড, মার্কিন বিমান বাহিনী কেন্দ্রীয় কমান্ড, সম্মিলিত বিমান ও মহাকাশ অভিযান কেন্দ্র, ৩৭৯তম বিমান অভিযান শাখা এবং ৩১৯তম অভিযান গোষ্ঠীর সদর দফতর।

২০২১ সালের আগে কাতারে আরো তিনটি মার্কিন স্থাপনা ছিল- আল সাইলিয়া বিমান ঘাঁটি, ক্যাম্প সাইলিয়া এবং ফ্যালকন গোলাবারুদ সরবরাহ কেন্দ্র।

এই স্থাপনাগুলো লজিস্টিক সহায়তা ও সরঞ্জাম সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো। পরে এই ঘাঁটিগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিটকে জর্ডানে স্থানান্তর করা হয়।

কুয়েত

১৯৯১ সালে কুয়েত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করে, যার আওতায় কয়েক হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়।

২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণের সময় কুয়েত ছিল জোট বাহিনীর অন্যতম সরবরাহ ঘাঁটি। পরে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসআইএস-বিরোধী অভিযানে এটি ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে কুয়েতে ১৩ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে।

এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর মধ্যে রয়েছে। তা হলো,

-আরিফজান বিমান ঘাঁটি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সদর দফতর।

-আলি আল সালেম বিমান ঘাঁটি। এটি ৩৮৬তম বিমান বাহিনীর কেন্দ্র, যা যৌথ বাহিনীর জন্য বিমান পরিবহন ও সহায়তা প্রদান করে।

-ক্যাম্প দোহা, এটি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড ও তৃতীয় পদাতিক ডিভিশনের কর্মীদের সদর দফতর।

-বুহরিংগার ফিল্ড, খারাপ আবহাওয়ায় বিমান অবতরণের জন্য উন্নত রাডার সজ্জিত।

সৌদি আরব

কুয়েতে ইরাকি আগ্রাসনের সময় মার্কিন-সৌদি সামরিক সহযোগিতা শুরু হয়। একসময় সৌদি আরবে প্রায় ১০ হাজার মার্কিন সেনা থাকলেও ২০০৩ সালে তাদের বেশিরভাগকে কাতারে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ২,৭০০ সেনা রয়েছে। তারা মূলত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের কাজে নিয়োজিত এবং ইয়েমেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেয় না। প্রধান ঘাঁটিগুলো হলো,

-আল ইসকান বিমান ঘাঁটি : এটি ৩২০তম বিমান গোষ্ঠী ও ৬৪তম অভিযান গোষ্ঠীর অবস্থান।

-প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটি : এটি ১৯৯০ সালে মার্কিন বাহিনীর আগমন ঘটে, ২০০৩ সালে চলে যায়। কিন্তু ২০২০ সালে ইরানের সাথে উত্তেজনার পর আবার সক্রিয় হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত

এই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। সেখানে প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রধান ঘাঁটিগুলো হলো, -আল ধফরা বিমান ঘাঁটি। এটি ৩৮০তম বিমান স্থাপনা ইউনিটের ঘাঁটি।

-জেবেল আলী বন্দর, এতে বিমানবাহী রণতরী পরিচালনার সক্ষম ডক রয়েছে।

-ফুজাইরাহ নৌ ঘাঁটি, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে জেবেল আলীর সাথে স্থল সংযোগ হিসেবে কাজ করে।

বাহরাইন

১৯৪৮ সাল থেকে বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ১৯৭১ ও ১৯৯১ সালের চুক্তিগুলোর পর এটি মার্কিন নৌ কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ২০২২ সালে এখানে ৯ হাজারের বেশি সেনা ছিল। মূল ঘাঁটিগুলো,

-জুফায়ার নৌ ঘাঁটি : মার্কিন পঞ্চম নৌবহরের সদর দফতর।

-শেখ ঈসা বিমান ঘাঁটি : আফগানিস্তান যুদ্ধে ব্যবহৃত।

-মুহাররাক বিমান ঘাঁটি : বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অংশ, টাস্ক ফোর্স ৫৩-এর সদর দফতর।

ওমান

১৯৮০ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় মার্কিন বাহিনী ওমানে প্রবেশাধিকার পায়। এখানে প্রায় ৬০০ সেনা মোতায়েন আছে এবং তারা ২৪টি সামরিক স্থাপনায় কাজ করে। গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলো হলো,

-মাসিরাহ বিমান ঘাঁটি : গুপ্তচর বিমান ও জলসীমা নজরদারির কাজে ব্যবহৃত।

-আল-মুসান্নাহ বিমান ঘাঁটি : বিমান পরিবহন ও গোলাবারুদ ডিপোর জন্য ব্যবহৃত।

-থুমরাইত বিমান ঘাঁটি : সরঞ্জাম ও অস্ত্র সংরক্ষণের কেন্দ্র।

ইরাক

আইএসআইএস নির্মূলের পর ২০২১ সালের মধ্যে ইরাকে মার্কিন সেনা সংখ্যা কমিয়ে ২,৫০০-এ আনা হয়। এই বাহিনী মূলত উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করে। তারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয় না। ইরাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তা হলো,

-হারির আল-মাকাম বিমান ঘাঁটি : সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ট্রানজিট পয়েন্ট ও কুর্দি অঞ্চল সুরক্ষার কেন্দ্র।

-বালাদ বিমান ঘাঁটি : ইরাকের বৃহত্তম ঘাঁটি, মার্কিন সদর দফতর ও একাধিক সামরিক স্থাপনা।

-হাব্বানিয়াহ বিমান ঘাঁটি : প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অস্ত্র ডিপো এবং কমান্ড সদর দফতরসহ একটি পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি।

-আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি : দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাঁটি, বিশেষ অভিযান পরিচালনার কেন্দ্র।

-তাজি বিমান ঘাঁটি : বিমানবন্দর, ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের ভাণ্ডারসহ একটি পূর্ণ সামরিক ঘাঁটি।

-স্পাইচার বিমান ঘাঁটি : উত্তর ইরাকে কৌশলগত ঘাঁটি, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র অভিযানের কেন্দ্র।

সিরিয়া

২০১৫ সালে মার্কিন সেনারা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। ২০১৯ সালের মধ্যে সেনা সংখ্যা ৯০০-এ নেমে আসে। তারা সেখানে প্রায় ২০টি ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। তা হলো,

-আল-তানফ ঘাঁটি : এটি সিরিয়ার বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটি। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম রয়েছে।

অন্যান্য ঘাঁটি : কোবানি (আইন আল-আরব), তাল আবিয়াদ, রমেলান, আইন ইসা, মাবরুকা।

জর্ডান

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জর্ডানে ২,৮০০-এর বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে। প্রধান ঘাঁটিসমূহ হলো,

-মুওয়াফাক সালতি বিমান ঘাঁটি

-টাওয়ার ২২ (ছোট ঘাঁটি)

-আকাবা বন্দর : মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য সামরিক সুবিধা।

ইসরাইল

মার্কিন সরকার ইসরাইলে সেনা সংখ্যা বা ঘাঁটির অস্তিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে অন্তত একটি গোপন ঘাঁটির তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তা হলো, সাইট ৫১২। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নজরদারি রাডার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া মার্কিন জরুরি সামরিক স্টোরও তাতে রয়েছে।

মিসর

মিশরে কোনো মার্কিন যুদ্ধ ঘাঁটি নেই। তবে ৬০০ মার্কিন সেনা একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ হিসেবে মোতায়েন রয়েছে। তা হলো,

-পশ্চিম কায়রো বিমান ঘাঁটি : মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রবেশাধিকার।

-মিসরের বন্দরসমূহ : মার্কিন নৌবাহিনীর জন্য সুবিধা।

তুরস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কে ১,০০০ এরও বেশি সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি রয়েছে। তা হলো,

-ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটি : যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর যৌথ ঘাঁটি, বিশেষ অভিযান ও বোমা মজুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

-ইজমির বিমান ঘাঁটি : মার্কিন বিমান বাহিনীর কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto