USA

মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ থামাতে চান উভয় নেতা, প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি কমলা ও ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি মাত্র চারদিন। শেষ মুহূর্তের প্রচারে অভিনব কা- ঘটাচ্ছেন উভয় নেতা। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ময়লার ট্রাকের চালক হিসেবে সমর্থকদের সামনে আসেন। একইসঙ্গে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলিম ভোট টানতেও ঘাম ঝরাচ্ছেন। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতির বন্যা। নির্বাচনে জিতে হোয়াইট হাউজে পা রাখার আগেই মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ চান ট্রাম্প।

প্রকাশ্যে ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে এলেও যুদ্ধ বন্ধের জন্য অনেক আগেই সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়ে বার্তা পাঠান ট্রাম্প। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে উঠে এসেছে এই খবর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারের শুরু থেকেই ট্রাম্প বলে এসেছেন, একমাত্র তিনি ক্ষমতায় এলেই মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করা সম্ভব।
গত জুলাইয়ে ফ্লোরিডার বাসভবন মার ই লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। তখনই নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন ট্রাম্প। ইসরাইল ও মার্কিন সূত্রগুলো বলছে- আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী রিপাবলিকান প্রার্থী। জয়ের পর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই যুদ্ধের অবসান চান সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। খবর সিএনএন ও আলজাজিরা অনলাইনের। 
নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে ট্রাম্প নাকি বলেছেন, গাজায় বেসামরিক লোকদের ওপর যে ধ্বংসযজ্ঞ ইসরাইল শুরু করেছে তা বিশ্বের জন্য খুব খারাপ। আর এতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
নভেম্বরের ৫ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রায় শেষের দিকে হলেও এখন অভ্যন্তরীণ বিষয়ের চেয়ে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকরা বরাবরই ইসরাইল বলতে অন্ধ। প্রশাসনে বদল এলেও ইসরাইলের প্রতি নীতিতে তাদের সমর্থনে কোনো পরিবর্তন আসে না। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ইসরাইলের দানবীয় আগ্রাসন আর মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে প্রচারে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন কমলা ও ট্রাম্প উভয়ই। এক বছর ধরে ফিলিস্তিনের ওপর নির্বিচার গণহত্যায় মার্কিনীরা ইসরাইলের একনিষ্ঠ সমর্থন থেকে সরে এসেছেন। দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শহরগুলোতে প্রায়ই নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইহুদিদের পাশাপাশি মুসলিম অভিবাসীদেরও বড় একটা প্রভাব রয়েছে। আর মুসলিম ও ইসরাইলবিরোধী ভোটারদের দলে টানতে কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্প প্রতিদিনই নিত্য নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের জন্য বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে দায়ী করে ট্রাম্প বলছেন-তিনি ক্ষমতায় না এলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। এমনকি বুধবার লেবাননের মুসলিমদের উদ্দেশ করে দেওয়া এক বার্তায় তাদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী।

আবার তিনি জয় না পেলে ইসরাইল ধ্বংস হয়ে যাবে বলে ইহুদি ভোটারদেরও মন জয়ের চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ট্রাম্প সমর্থকদের ‘আবর্জনা’ বলে সম্বোধন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। যদিও পরবর্তীতে হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়, বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের নয়, বরং সমাবেশে ট্রাম্পের ঘৃণ্য বক্তব্য সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন। তবে, বাইডেন যে কারণেই এমন মন্তব্য করে থাকুন না কেন, সেটিকে কাজে লাগিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জবাব হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য উইসকনসিনে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়ে তিনি ফর্মাল শ্যুটের বদলে কমলা রঙের সেফটি ভেস্ট পরে মঞ্চে হাজির হন, যা মূলত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পরেন। ওই পোশাক পরে এসে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা আবর্জনা নন। তিনি আরও বলেছেন যে, তার সমর্থকরা আমেরিকার “হৃদয় ও আত্মা’। বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের প্রতি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতেও ছাড়েননি তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের পুরো দেশকে আবর্জনার মতো মনে করে’ এবং ‘ দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তারা যেসব ভয়ানক কাজকর্ম করেছেন’ তার তালিকা করা হয়েছে। সমাবেশের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিমানবন্দর থেকে একটি সাদা ময়লার ট্রাকে তুলে নেওয়া হয়। সেই ট্রাকের গায়ে অংকিত ছিল তার ক্যাম্পেনের লোগো।
উইসকনসিনে কমলা হ্যারিসের সমালোচনা, ইলন মাস্ক ও সেফটি ভেস্টের প্রশংসা করার পাশাপাশি  ট্রাম্প তার মূল প্রতিশ্রুতিগুলো তুলে ধরেন। তিনি দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসাকে কর প্রদান থেকে মুক্তিরও আশ্বাস দেন তিনি।
তার মতে, হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘ সে (কমলা) অযোগ্য। সবাই এটা জানে। কেউ তাকে সম্মান করে না, কেউ তাকে বিশ্বাস করে না, কেউ তাকে সিরিয়াসলি নেয় না। তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা মানে লাখ লাখ মানুষের জীবনের সঙ্গে জুয়া খেলা। এর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ‘স্যাভেজ মেশিন’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘আপনাদের ছেলে-মেয়েরা শেষ পর্যন্ত একটি অবিরাম যুদ্ধের খসড়া হয়ে যাবে। তবে দমে যাননি কমলা হ্যারিস। তিনিও একই দিন উইসকনসিনে সমাবেশ করেন।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেছেন যে, উইসকনসিন এমন একটি যুদ্ধক্ষেত্র, আসন্ন নির্বাচনে যেটিতে জয়ী হওয়া আবশ্যক। উইসকনসিনবাসীদের কাছে তিনি ভোট প্রার্থনা করেন। তবে, কমলা হ্যারিসের বক্তব্যের শুরুতে একজন প্রতিবাদকারী ‘সিজফায়ার নাউ’ বলে উচ্চস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন, মানে, গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান তিনি। হ্যারিস সেই প্রতিবাদকারীর কথার উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গাজার যুদ্ধ শেষ হোক’ এবং উপস্থিত সমর্থকদের তিনি বলেন যে, এই যুদ্ধ শেষ করার জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। তিনি এক পর্যায়ে প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমাদের সবারই কথা বলার অধিকার আছে। কিন্তু এখন আমি কথা বলছি।’
এ কথা শুনে সবাই তারস্বরে চিৎকার করে ওঠে এবং এক পর্যায়ে প্রতিবাদকারীরা শান্ত হয়ে যায়। হ্যারিস তার ভাষণ চালিয়ে যান এবং তার সমর্থকদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে  বলেন, ‘আমরাই জিতব। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এর পর বলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে দেখা যাবে তিনি তার শত্রুদের তালিকা নিয়ে অফিসে প্রবেশ করছেন। কিন্তু যখন আমি নির্বাচিত হব, তখন আমি একটি টু-ডু লিস্ট (করণীয় তালিকা) করার কাজে মন দেব। তিনি জানান, তার করণীয় তালিকার শীর্ষে রয়েছে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ কমিয়ে আনা।

গর্ভপাত, স্বাস্থ্যসেবাসহ আরও যেসব খাতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি তিনি এর আগে দিয়েছেন, সেসব বিষয় তিনি আবারও উইসকনসিনের সমাবেশে তুলে ধরেন। তিনি স্বাস্থ্যসেবার খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। গর্ভপাতের বিষয়ে বলেন, ‘একজন নারী তার শরীরের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত  নেবেন, তা তার মৌলিক স্বাধীনতা। এখানে সরকার তাকে কী বলবে, সেটি তাকে অনুসরণ করতে হবে না।’
তিনি তরুণ ভোটারদের, বিশেষ করে যারা এবার প্রথম ভোট দেবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি তোমাদের প্রজন্মকে ভালোবাসি, আমি তোমাদের ভালোবাসি।’
হ্যারিস বলেন, ‘তোমরা পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে আছো। তোমরাই কেবল জলবায়ু সংকট সম্বন্ধে জানো। তোমরা আমাদের গ্রহ, আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার দায়িত্বে নেতৃত্ব দিচ্ছো। তিনি উইসকনসিনের জনতাকে এই বলে তার বক্তৃতা শেষ করেন, ‘আপনার ভোট আপনার কণ্ঠস্বর। আপনার কণ্ঠস্বর আপনার শক্তি।  বুধবার প্রকাশিত সর্বশেষ জনমত জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পাল্লাই ভারি বলে আভাস মিলেছে। রয়টার্স-ইপসোস-এর এই জরিপ ঘিরে ইতোমধ্যে হইচই শুরু হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে  পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন কমলা। তবে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান এক শতাংশ। এদিকে এই নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিরলতম ঘটনা ঘটেছে। দেশটির ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ম্যাডিসন কাউন্টিতে মার্কিন কংগ্রেসের নি¤œকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান দলের সাবেক এক প্রার্থীকে ব্যালট চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার রাজ্যটির পুলিশ এ তথ্য জানায়। অভিযুক্তের নাম ল্যারি স্যাভেজ (৫১)।

তিনি ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বলেছে, ৩ অক্টোবর ভোট দেওয়ার ৪টি যন্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল। এ সময় পরীক্ষার জন্য আনা ১৩৬ প্রার্থীর ব্যালট থেকে ২টি ব্যালট নিখোঁজ হয়ে যায়। পুলিশ বলেছে, নজরদারির কাজে ব্যবহৃত ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যালট পরীক্ষার বৈধতা-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর ল্যারি স্যাভেজ ব্যালট দুটি ভাঁজ করে প্যান্টের পকেটে ঢোকাচ্ছেন। পরে স্যাভেজের বিরুদ্ধে একটি তল্লাশি পরোয়ানা জারি করা হয় এবং তার ভবনে তল্লাশি চালানো হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ল্যারির গাড়ি থেকে নিখোঁজ ব্যালটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ইন্ডিয়ানার রিপাবলিকান পার্টির জনসংযোগ পরিচালক গ্রিফিন রিড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে নির্বাচনে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানাই। আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করছি। 
অনলাইনে পাওয়া নথি অনুযায়ী, ল্যারির বিরুদ্ধে ব্যালট সরানো এবং নষ্ট করার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তার পক্ষে কোনো আইনজীবীকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পর মুচলেকা নিয়ে তাকে  ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে ধরা দেওয়ার আগে ল্যারি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। এত দিন পর্যন্ত অধিকাংশ জনমত সমীক্ষায় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প কমলার চেয়ে পিছিয়েই ছিলেন। কিন্তু ভোটের দেড় সপ্তাহ আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত জনমত সমীক্ষায় এগিয়ে যান ট্রাম্প। নতুন আর এক সমীক্ষায় ফের এগিয়ে গেলেন কমলা।

সদ্য প্রকাশিত রয়টার্স-ইপসোস জনমত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার ৪৩ শতাংশ ভোটদাতার প্রেসিডেন্ট পদে পছন্দ হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন বাসিন্দা ট্রাম্পকে। অন্যদিকে, বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪৪ শতাংশ ভোটারের। বাকি ১৩ শতাংশ ভোট লিবারেটরিয়ান পার্টি, গ্রিন পার্টি-সহ বিভিন্ন দল এবং নির্দল প্রার্থীদের পক্ষে গিয়েছে। ২১ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১,১৫০ জন ভোটারকে নিয়ে জনমত সমীক্ষাটি চালিয়েছিল রয়টার্স-ইপসোস।

সেই সমীক্ষাতে দেখা যায়, অর্থনীতি, বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভোটারদের পছন্দ প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকেই। অভিবাসন-সমস্যা রুখতেও ট্রাম্পকে বেছেছেন ভোটাররা। অন্যদিকে, দেশে চরমপন্থি রাজনীতির প্রসার রুখতে কমলার ওপর ভরসা রয়েছে ভোটারদের। এর আগে রয়টার্স-ইপসোসের গত ১৬ থেকে ২১ অক্টোবরের সমীক্ষাতেও এগিয়ে ছিলেন কমলা। সেখানে অবশ্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ফারাক ছিল মাত্র ২ শতাংশ ভোটের।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button