ময়লার স্তূপ থেকে ২ বছরে আয় ৯৪ লাখ টাকা
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ৩৪ বছর বয়সী টিফানি বাটলার। ময়লার বাক্স থেকে তিনি নিয়মিত ব্যবহারের উপযোগী মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজে বেড়ান। এ কাজ করতে গিয়ে সম্প্রতি হয়েছেন খবরের শিরোনাম।
টিফানি সম্প্রতি একটি ময়লার বাক্সে নিউ ব্যালান্স ব্র্যান্ডের নতুন জুতাভর্তি (ট্রেইনার্স) একটি বড় ব্যাগ খুঁজে পান। এসব জুতার একেক জোড়ার দাম প্রায় ১৪ হাজার টাকা। সঙ্গে নতুন আরও কিছু জিনিস পেয়েছেন। এর মধ্যে ছিল একই ব্র্যান্ডের টি-শার্ট, পানির বোতল ও মোজা।
টিফানি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বর্জ্য ফেলার বাক্সে ব্যবহার্য জিনিস খোঁজেন। সবশেষ তিনি যে জিনিসগুলো খুঁজে পেয়েছেন, সেটিকে অপ্রত্যাশিত ভাগ্য বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে। কারণ, এর আগে ওই এলাকায় ভালো কিছু খুঁজে পাননি তিনি।
ভিন্নধর্মী সংবাদমাধ্যম হোয়াটস দ্য জ্যামকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টিফানি বলেন, আপনি কখনোই জানবেন না, দোকানগুলো কখন তাদের অবিক্রীত জিনিস ফেলে দেবে। এটি সত্যিকার অর্থেই ভাগ্যের বিষয়।
টিফানির হিসাব অনুযায়ী, ময়লার বাক্সে খুঁজে পাওয়া জিনিস বিক্রি করে গত ২ বছরে তিনি প্রায় ৮০ হাজার ডলার (৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭২ টাকা) আয় করেছেন। ময়লার বাক্সে ব্যবহার্য জিনিস খুঁজে পেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন টিফানি। মানুষের ফেলে দেওয়া এসব জিনিসের সম্ভাব্য মূল্যও তুলে ধরেন সেখানে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ৩০ লাখ।
মূল্যবান জিনিস বা বড় অঙ্কের নগদ অর্থ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি পৃথিবীতে নতুন নয়। ময়লার বাক্সে নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়ার অনেক আলোচিত ঘটনা আছে।
২০২৩ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ময়লার স্তূপে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডলারের কয়েকটি বান্ডিল খুঁজে পান। হিসাব করে দেখা যায়, সেসব বান্ডিলে ৩০ লাখ ডলার ছিল। পরে অবশ্য পুলিশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে ডলারগুলো ছিল জাল।
সেই বছরের নভেম্বরে বেঙ্গালুরুর হেবাল এলাকায় একটি ময়লার স্তূপে ২৩ বান্ডিল নোট খুঁজে পেয়েছিলেন সালমান শেখ নামের ওই ব্যক্তি।
সালমান বলেন, ‘আমি কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ অনেকগুলো নোট দেখতে পাই। এতে আমি রীতিমতো বেহুঁশ হয়ে গেছি। এর আগে এত বেশি অর্থ আর কখনো দেখিনি। তবে আমি নিশ্চিত, সেগুলো ভারতীয় মুদ্রা ছিল না।’