Science & Tech

মহাকাশে এত ধুলা আসে কোথা থেকে?

পৃথিবী থেকে মহাকাশের দিকে তাকালে ঠিক কী দেখতে পান বলুন তো? মহাকাশ বললে হয়তো, অনেক দূরের কথা বলা হবে। আকাশের দিকে খালি চোখে তাকালে সবকিছু পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হয়, তাই তো? কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন, মহাকাশে শুধুই ধূলা আছে। তাহলে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রকাশিত ছবিগুলিতে কোথাও কোনও ধূলা দেখা যায় না কেন? কারণটা কী জানেন?

কখনও কি মনে প্রশ্ন জাগে, এই ধূলা কোথা থেকে এল এবং এটাকে আদৌ ধূলা বলে কি? প্রকৃতপক্ষে, বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এগুলি কোনও সাধারণ ধূলিকণা নয় বরং মহাজাগতিক ধূলিকণা। যাদের সহজে দেখতে পাওয়া যায় না। মহাকাশ থেকে আনা যে কোনও বস্তুতেই এ ধূলা দেখা যায়। এমনকী সেই সব ধূলা মহাকাশে অবিচারে এদিক থেকে ওদিক ঘুরে বেরায়। কারণ এর সাহায্যে বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের অনেক রহস্যের সন্ধান পান। মহাজাগতিক ধূলিকণা সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাও করেছেন বিজ্ঞানীরা।

মহাজাগতিক ধূলিকণা খুব সূক্ষ্ম। তাদের আকার প্রায় ৮০ মাইক্রোমিটার। অর্থাৎ এগুলো মানুষের চুলের চেয়েও ছোট। এই ধূলিকণাগুলো আসে গ্রহাণু, ধূমকেতু থেকে। এই এত পরিমাণ ধূলা আসে কোথা থেকে?

বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকাশের ধূলার বেশির ভাগই আসে নক্ষত্রদের থেকে। অর্থাৎ যখন একটি তারা খসে পড়ে বা একটি নতুন তারার জন্ম হয়, তখন এটি প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা তৈরি করে। অনেক সময় এই ধুলার সঙ্গে অনেক ধরনের গ্যাস থাকে। স্পেস এজেন্সিগুলো প্রায়ই এগুলোর ছবি শেয়ার করে, যা ধূলা এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি। এছাড়া মহাকাশে ধূলিকণার মেঘও তৈরি হয়। আর মহাকাশে ধূলিকণার মেঘ হল মহাবিশ্বের আকর্ষণীয় এবং রহস্যময় বৈশিষ্ট্য। এই মেঘগুলি ক্ষুদ্র কণা, অণু এবং বিভিন্ন পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত হয়। মহাজাগতিক ধূলিকণাতে কিছু জটিল জৈব যৌগ থাকে, যা নক্ষত্র দ্বারা প্রাকৃতিকভাবে এবং দ্রুত তৈরি হতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button