Science & Tech

মহাকাশে দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান, কত বড় জানেন কি

মহাকাশে নতুন একটি দৈত্যাকার রহস্যজনক ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নতুন এই  কৃষ্ণগহ্বরের অবস্থান জিএন-জেড১১ নামের ছায়াপথ বা গ্যালাক্সিতে। ছায়াপথের কেন্দ্রেই অবস্থান করছে নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটি। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পৃথিবী থেকে অনেক দূরে মহাকাশের ঘূর্ণিবলয়ের মধ্যে অবস্থান করছে কৃষ্ণগহ্বরটি। এটিই জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে দূরের দৈত্যাকার কৃষ্ণগহ্বর। মহাবিশ্বের প্রথম দিকের ছায়াপথে অবস্থান করা সুপার ম্যাসিভ বা বড় আকারের এই কৃষ্ণগহ্বরের বিস্তারিত তথ্য জানতে বর্তমানে কাজ চলছে। নতুন এ কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য সম্প্রতি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষ্ণগহ্বরে কোনো গ্রহ বা নক্ষত্রের মতো পৃষ্ঠ নেই। কৃষ্ণগহ্বরে এমন একটি সীমানা থাকে, যাকে দিগন্ত বলা হয়। যদি কোনো কিছু সেই দিগন্তসীমার খুব কাছাকাছি চলে যায়, তবে তা কৃষ্ণগহ্বরের ভেতরে চলে যাবে। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রবার্তো মাইওলিনো বলেন, ‘আমরা বেশ ঘন গ্যাস খুঁজে পেয়েছি যা সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের আশপাশে থাকে। এটাই প্রথম প্রমাণ যে কৃষ্ণগহ্বর আছে সেখানে। এর পরে আমরা বৈদ্যুতিকভাবে চার্জযুক্ত রাসায়নিক কণার খোঁজ পাই। আমরা বিশ্বাস করি, এই কৃষ্ণগহ্বরের আকার ২০ লাখ সূর্যের সমান।

জিএন-জেড১১ মূলত উচ্চ-রেডশিফট ধরনের ছায়াপথ। আরসা মেজর নক্ষত্রমণ্ডলে এর অবস্থান। এটি পৃথিবী থেকে আবিষ্কৃত সবচেয়ে দূরবর্তী ছায়াপথের মধ্যে একটি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, মহাবিশ্বের বয়স যখন মাত্র ৪৩ কোটি বছর ছিল, তখন আলোকিত এই ছায়াপথ জীবন্ত ছিল। ২০১৫ সালে প্যাসকাল ওশ ও গ্যাব্রিয়েল ব্রামার এই ছায়াপথের খোঁজ পান। ৩২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button