মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরপর তৈরি এক কৃষ্ণগহ্বরে ঘটবে বিস্ফোরণ, কবে

মহাবিশ্বের বিস্ময়কর রহস্যময় বস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল। আর তাই কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে দশকের পর দশক ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এমনই এক গবেষণা চালিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পরপর তৈরি হওয়া এক কৃষ্ণগহ্বরে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অ্যামহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কৃষ্ণগহ্বরটির বিস্ফোরণের সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ বলে দাবিও করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, আদিম কৃষ্ণগহ্বরটি মহাবিশ্ব সৃষ্টির কিছুক্ষণের মধ্যেই গঠিত হয়েছে। ১৯৭০ সালে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এ ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্বের কথা প্রথম জানান। কৃষ্ণগহ্বরটির বিস্ফোরণের সময় সম্পর্কে ধারণা পেতে গবেষণা চলাকালে আদিম কৃষ্ণগহ্বর নামের একটি তাত্ত্বিক ধারণা নিয়ে কাজ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আগামী দশ বছরের মধ্যে কৃষ্ণগহ্বরটি বিস্ফোরিত হওয়ার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিস্ফোরণ ঘটলে পদার্থবিজ্ঞানের অনেক নতুন তথ্য জানা যাবে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আদিম কৃষ্ণগহ্বর থেকে হকিং রেডিয়েশন নির্গত হয়, যা একসময় কৃষ্ণগহ্বরের সম্পূর্ণ ভরকে বিকিরণে রূপান্তরিত করে বিস্ফোরিত হয়। কৃষ্ণগহ্বরের বিস্ফোরণের মাধ্যমে এমন কিছু অজানা কণার সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মাইকেল বেকার বলেন, আমরা বলছি না যে এমন কোনো বিস্ফোরণ এই দশকে ঘটবে। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
কৃষ্ণগহ্বরের বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞানীরা একটি ডার্ক-চার্জ মডেল ব্যবহারের প্রস্তাব করেছেন। আদর্শগতভাবে কৃষ্ণগহ্বরের কোনো চার্জ নেই। তবে বিজ্ঞানী বেকার জানান, আমরা ভিন্ন অনুমান ধরে কাজ করছি। যদি একটি আদিম কৃষ্ণগহ্বর একটি ছোট অন্ধকার বৈদ্যুতিক চার্জ দিয়ে তৈরি হয়, তাহলে মডেল অনুযায়ী তা বিস্ফোরিত হওয়ার আগে অস্থায়ীভাবে স্থিতিশীল হবে।