Hot

মাঠ প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে মন্ত্রণালয় বিব্রত

মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তা নানা অনিয়মে জড়াচ্ছেন। কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল কোর্ট আইনের অপব্যবহারের ঘটনাও ঘটছে। এসব নিয়ে বিব্রত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও লাগাম টানা যাচ্ছে না। এতে সার্বিকভাবে পেশাদারিত্ব কমে যাচ্ছে। সেবাবঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনে দলীয়করণ এবং আমলাতন্ত্রের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে আমলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কোনো অভিযোগ উঠলে যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সর্বস্তরের কর্মকর্তারা নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদের কয়েকজন কর্মকর্তার নামে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রশাসনের সাবেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব পদে থেকে অপকর্মে জড়িতদের অতীতে বিভাগীয় মামলায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় উত্তরসূরি অনেকে সাহস দেখাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ থাকলেও বেশির ভাগই অমীমাংসিত থেকে যায় বা সঠিক বিচার হয় না।

অনভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে পদায়ন করায় অনিয়ম বেশি ঘটছে। আগে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতির অন্তত তিন বছর পর ডিসি পদে পদায়ন করা হতো। ১৫-১৬ বছর চাকরি করার পর ডিসি পদ পেতেন তারা। ১১-১২ বছর চাকরি করার পর ইউএনও করা হতো। বর্তমানে চাকরির পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে কর্মকর্তারা ইউএনও হচ্ছেন।

কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বর্তমান সরকারের সময়ে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরতা অনেক বেড়েছে। ফলে সর্বস্তরের কর্মকর্তারাই নিজেদের অধিক ক্ষমতাবান ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারছেন না। দ্বিতীয়ত, দলীয়করণের কারণে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির প্রভাব রয়েছে। ক্ষমতা পেয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের তেমন গুরুত্ব দিতে চান না তারা। সরকারও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনপ্রতিনিধিদের এড়িয়ে আমলাদের অগ্রাধিকার দেয়। এ কারণে কোনো কোনো কর্মকর্তা রাজনীতিকদের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছেন। তৃতীয়ত, বর্তমান বাস্তবতায় দেশে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় আমলাতন্ত্র অধিকতর ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। বিশেষত তৃণমূল পর্যায়ে বিষয়টি প্রকটভাবে দৃশ্যমান।

একের পর এক গুরুতর অভিযোগ

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচনে জিতিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দেড় কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এইচ এম গোলাম রেজা। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পুত্র ও পুত্রের শ্বশুর একটি বস্তায় ভরে এই টাকা জেলা প্রশাসকের বাসভবনে পৌঁছে দিয়েছেন। হুমায়ুন কবীর নিজেই এ টাকা গ্রহণ করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন তিনি।

জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনে নোঙ্গর মার্কা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন এইচ এম গোলাম রেজা। হুমায়ুন কবীর নির্বাচনে সহায়তা করার নামে কৌশলে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা তাঁর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। কিন্তু নির্বাচনে তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাননি; বরং পদে পদে অসহযোগিতা করা হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এই টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ছয় দিন পর গোলাম রেজাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ অভিযোগের বিষয়ে এখনও তদন্ত শুরু হয়নি।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাসের অশ্লীল ভিডিও ফাঁস হয়েছে সম্প্রতি। এর আগে এই ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ইউএনওর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরই দেহরক্ষী আকাশ বিশ্বাস। এ ঘটনায় অনিমেষ বিশ্বাসের স্ত্রী বিপাশা বিশ্বাস বাদী হয়ে আকাশ বিশ্বাসের নাম উল্লেখসহ লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। জনপ্রশাসনে এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল অনিমেষ বিশ্বাসকে বরগুনায় বদলি করা হয়েছে। 

গত ১৪ মার্চ জমি খারিজ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় পাঁচ সাংবাদিককে তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ-আল-নোমান। প্রতিবাদের মুখে তাঁকে প্রত্যাহার করে হরিপুরে বদলি করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। 

গত ৫ মার্চ শেরপুরের নকলা উপজেলায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা ইউএনওর কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ। একটি প্রকল্পের তথ্য চেয়ে সম্প্রতি ইউএনও কার্যালয়ে আবেদন করেন রানা। তথ্য চাওয়ায় তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ হন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন। 

নকলা ও লালমনিরহাট ছাড়াও গত কয়েক বছরে বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন মাঠ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কেউ কেউ নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়িয়েছেন। সেবাপ্রত্যাশী সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার ঘটনা ঘটছে একের পর এক। তবে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বেশি ঝামেলায় জড়িয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে।

গত অক্টোবরে এক নারীর সঙ্গে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়। এই কর্মকর্তা বর্তমানে ওএসডি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় ওএসডি হন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান বলে জানা গেছে। 

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের কাছে স্ত্রীর সামাজিক স্বীকৃতি ও সন্তানের পিতৃত্বের অধিকার চেয়ে অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন এক স্কুলশিক্ষিকা। 

কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ইউএনও মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ সম্বোধন করায় তিনি এক ব্যবসায়ীকে ‘মা’ বলে ডাকতে বলেন। মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ইউএনও রুনা লায়লাকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ বলায় পুলিশ দিয়ে ব্যবসায়ীকে পেটানোর খবরও চাউর হয়েছিল।

ইউএনও কার্যালয়ের বাগানে ‘ছাগলের ফুল খাওয়ার অপরাধে’ মালিককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করে সমালোচনার জন্ম দেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ইউএনও সীমা শারমীন। বান্দরবানের আলীকদমের ইউএনও মেহরুবা ইসলাম ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি বিতরণ না করে সবার সামনে ট্রফি আছড়ে ভেঙেছেন। এমন কাণ্ডের পর ওই কর্মকর্তাকে তিরস্কার না করে উল্টো তাঁকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়। বগুড়া সদরের ইউএনও সমর কুমার পাল এলজিইডির চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত দত্ত নিজ অফিসের দুই কর্মচারীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ছাড়া যৌতুকের জন্য মারধর করা, একাধিক বিয়ে, অন্য নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সারোয়ার সালামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী। 

আচরণ বিধিমালা ও সংবিধান কী বলে

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার ২৭ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মচারী সংকীর্ণতা, প্রিয়তোষণ, বেআইনিভাবে ক্ষতিগ্রস্তকরণ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করিতে পারিবেন না।’ এ ছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২(২)-এ আছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।’ সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থি এবং সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিশেষজ্ঞরা যা বলেন

প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এভাবে একের পর এক অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়াকে উদ্বেগের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার সমকালকে বলেন, অপকর্মে ও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ানো এসব কর্মকর্তার মধ্যে আত্মমর্যাদা বোধের অভাব রয়েছে। পেশাদারিত্বের অভাব তো আছেই। পদের মর্যাদা রক্ষা করে চলতে না পারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আগে এত বেশি অভিযোগ শোনা যেত না। এখন কেন যাচ্ছে? তিনি বলেন, কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কয়েকটি নেওয়া হলে মাঠ কর্মকর্তারা একটা ‘বার্তা’ পাবেন। এতে বর্তমান চিত্র বদলাতে পারে।
স্থানীয় সরকার ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চাকরি বিধিবিধান রয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সেগুলো সঠিক বাস্তবায়ন হলে এ ধরনের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে তা হচ্ছে না বলেই প্রতীয়মান হয়। মাঠ কর্মকর্তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচুর খবর প্রকাশ হচ্ছে। সরকার ব্যবস্থা না নিলে বা শাস্তি না দিলে একশ্রেণির কর্মকর্তা এসব করতেই থাকবেন।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্মকর্তারা জনগণের সেবার জন্য নিয়োজিত, তারা সে বিষয়টি ভুলে যান। জনগণের কাছে জবাবদিহি করার কোনো প্রয়োজানীয়তাও মনে করেন না; যে কারণে তারা প্রায়ই অপকর্মে ও বিতর্কে জড়ান। এ ছাড়া এসব কাজের জন্য তাদের সেই অর্থে কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না। ফলে জবাবদিহির বাইরে চলে গেলে যা হয়, তাই হচ্ছে।

এ বিষয়ে গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্‌ উদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে সমকালকে বলেন, তিনি একটি সভায় আছেন। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন। তবে পরে তাঁকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রেষণ) মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম এ প্রসঙ্গে বলেন, মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কারও বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মন্ত্রণালয়ে এ জন্য আলাদা শৃঙ্খলা ও তদন্ত অনু বিভাগ রয়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button