USA

মায়েদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্রুত বিতাড়িত তিন মার্কিন শিশু

মার্কিন সরকারের অভিবাসন নীতির বড় ভুল

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মা-সহ তিনজন মার্কিন নাগরিক শিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা আইনি বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার পেছনে একটি কটাক্ষের প্রশ্ন উঠে এসেছে, যেখানে এক মার্কিন জেলা বিচারক বলেছেন যে, মার্কিন নাগরিকদের বহিষ্কার করা ‘অবৈধ এবং অসাংবিধানিক’। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী। তথ্যটি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সকালে, যখন ২, ৪ ও ৭ বছর বয়সী তিনটি মার্কিন নাগরিক শিশুকে তাদের মায়ের সঙ্গে লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স থেকে গ্রেফতার করে হন্ডুরাসে পাঠানো হয়। তাদের আইনজীবীরা জানান, গ্রেফতারের পর তাদের যোগাযোগের সুযোগ দেয়া হয়নি, এমনকি আইনগত সাহায্যও পাওয়া যায়নি। এর ফলে তাদের বহিষ্কার কার্যক্রম দ্রুত শেষ হয়। একটি শিশুর ক্যান্সারের স্টেজ ৪ ধাপের অবস্থা থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা ছাড়াই তাকে বহিষ্কার করা হয়, যা আরো একবার এ প্রক্রিয়ার অমানবিকতা তুলে ধরে।

এ ঘটনার পর, দুই বছর বয়সী মার্কিন শিশুটির বাবা আদালতে একটি জরুরি আবেদন দাখিল করেন, যাতে শিশুটিকে মুক্তির জন্য দাবি করা হয়। কিন্তু আদালত খোলার আগেই তাদের বহিষ্কার প্রক্রিয়া চলে যায়। মার্কিন জেলা বিচারক টেরি এ. ডাউটি পরে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান যে, ‘মার্কিন নাগরিকদের বহিষ্কার করা অবৈধ এবং অসাংবিধানিক’।

এটি মার্কিন সরকারের অভিবাসন নীতির একটি বড় ভুল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন, যাদের দাবি ছিল সীমান্ত নীতির কঠোর বাস্তবায়ন, তারা ভুলক্রমে অনেক অভিবাসীকে নির্বাসিত করেছে। যদিও তাদের দাবি, তারা অবৈধ অভিবাসী, অপরাধী এবং গ্যাং সদস্যদের টার্গেট করছে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের ভুল হয়ে থাকে। তাই এ ঘটনার ফলে আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto