মার্কিন নতুন মারণাস্ত্রের শক্তি হবে হিরোশিমায় ফেলা বোমার ২৪ গুণ ফের পরমাণু বোমা তৈরির ঘোষণা
আবারও পরমাণু বোমা তৈরি এবং তার পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে এই মারণাস্ত্র তৈরিতে নজর দিল ওয়াশিংটন। কারণ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও থামছে না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অন্যদিকে হামাস-হিজবুল্লাহ-হুতি ও ইরানের সঙ্গে একাধিক ফ্রন্টে লড়ছে ইসরাইল। যার জেরে রক্তাক্ত পশ্চিম এশিয়া। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বোমা পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছে পেন্টাগণ। যা গত শতাব্দীর শীতল যুদ্ধের (কোল্ড ওয়ার) সময়কার স্মৃতি ফেরাল বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা। নতুন এই বোমার শক্তি হবে হিরোশিমায় ফেলা বোমার ২৪ গুণ বেশি। চোখের পলকেই নাই হয়ে যাবে ৬ লাখ মানুষ। খবর সিএনএনের।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর নতুন করে অতি শক্তিশালী পরমাণু বোমা তৈরি এবং তা পরীক্ষার কথা ফলাও করে জানিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। যার পোশাকি নাম বি৬১-১৩। যুক্তরাষ্ট্রের যাবতীয় পত্র-পত্রিকাগুলোর দাবি, এবার যে বোমাটির পরীক্ষা করা হবে তা জাপানের হিরোশিমায় ফেলা বোমার চেয়ে ২৪ গুণ বড়। যদিও সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ আটলান্টিকের পারের দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় পরমাণু হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মানব ইতিহাসে সেটাই ছিল প্রথম পারমাণবিক আক্রমণ। পেন্টাগনের বোমারু বিমান যে পরমাণু বোমাটি ওই জাপানি শহরের ওপর ফেলছিল, তার সাংকেতিক নাম ছিল লিটল বয়।
এর তিন দিনের মাথায় ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় পরমাণু বোমা হামলা হয়। আমেরিকার দ্বিতীয় পরমাণু বোমাটির নাম ছিল ফ্যাট ম্যান। ওই পরমাণু বোমা হামলার পর আত্মসমর্পণ করে জাপান। শেষ হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ওই সময়ে দুটি পরমাণু হামলায় দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন পরমাণু বোমার ধ্বংস ক্ষমতা লিটল বয় বা ফ্যাট ম্যানের চেয়ে ২৪ গুণ বড় হবে, তা বলাই বাহুল্য। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যে জায়গায় ‘বি৬১-১৩’-র বিস্ফোরণ ঘটবে, সেখানকার ৮০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা ছয় লাখ বাসিন্দা চোখের পলকে উবে যাবেন। এ ছাড়া ওই ব্যাসার্ধের বাইরের দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সব স্থাপনা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।