মার্কিন নির্বাচনে আগাম ভোট পড়ল আড়াই কোটি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূলপর্বের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ নভেম্বর। তবে এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন দুই কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ভোটার। দেশটির প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই কোনো না কোনোভাবে আগাম ভোটের ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও প্রত্যেক রাজ্যের নিয়ম ভিন্ন। কিছু রাজ্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভোটারদের (যাদের বিশেষ প্রয়োজন আছে) মেইল-ইন ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়। আবার অন্য রাজ্যে সব ভোটারের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত থাকে।
জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার বলেছেন, তারা নিশ্চিতভাবে কিংবা সম্ভবত কমলা হ্যারিসকেই ভোট দেবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থনও ৪৭ শতাংশ। সম্ভাব্য ভোটারদের ৪৯ শতাংশ বলেন, তাঁরা কমলাকে সমর্থন দেবেন। আর ৪৮ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াসহ ৪৭টি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটের প্রস্তুতি চলছে। সোমবার ফ্লোরিডায় আগাম ভোট শুরু হয়, উইসকনসিনে শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার। গত সপ্তাহে জর্জিয়ায় আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সেখানে এবার রেকর্ডসংখ্যক ভোটার ব্যালট সংগ্রহ করেন। আগাম ভোট গ্রহণ মূলত নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে শুরু হয়। চলে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
আগাম ভোট সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বা ডাকযোগে দেওয়া হয়ে থাকে। দেশটিতে আগাম ভোট একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, যেখানে ভোটাররা নির্ধারিত ভোটের দিনের (যেমন ৫ নভেম্বর) আগেই ভোট দিতে পারেন। জরুরি কাজ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, ভ্রমণ, বা অন্য কোন বাধার কারণে অনেক ভোটার নির্ধারিত ভোটের দিন উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে যখন জানতে পারেন তখন তিনি আগাম ভোট দিয়ে থাকেন।
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে ভিড় এড়ানোর জন্য আগাম ভোট একটি কার্যকর উপায় বলে বিবেচিত। এতে মূল ভোটের দিন চাপ কমে যায় এবং ভোট প্রক্রিয়া সহজতর হয়। দেশটির অনেক ভোটারদের মেইল-ইন বা ডাকযোগে ভোট দিতে দেয়। বিশেষ করে মহামারির সময়ে এমন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পায়, কারণ এতে ভোটারদের ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রে যেতে হয় না। অন্যদিকে, অনেক রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী তাদের সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে উৎসাহিত করে, যাতে তারা আগে থেকেই নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে তারা সুনির্দিষ্ট ভোটটি পেয়ে গেছেন।
তবে এবারের মার্কিন নির্বাচনে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের মধ্যে এই আগাম নির্বাচনে কে এগিয়ে রয়েছেন, তা মূল নির্বাচনের আগে জানার কোন সুযোগ নেই।