মার্কিন নির্বাচনে চীন, রাশিয়া ও ইরানের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা
মার্কিন নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে ওঠেপড়ে লেগেছে চীন, রাশিয়া ও ইরান। এর আগে ইরান ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ করা হয়। তবে এবার নতুন করে এই দুইটি দেশের সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে দাবি করছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো।
মঙ্গলবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত দুটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা জানিয়েছে, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার জগতে চীন, রাশিয়া ও ইরানের কার্যক্রম বহুগুণে বেড়েছে। এসব প্রতিবেদনের একটি এসেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কাছ থেকে আরেকটি এসেছে সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম রেকর্ডেড ফিউচারের পক্ষ থেকে।
প্রতিষ্ঠান দুটি জানায় পরাশক্তি তিনটি মার্কিন জনগণের মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলতে আগ্রাসীভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, প্রোপাগান্ডা ছাড়তে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে চীনের পক্ষ থেকে। স্প্যামাউফ্লেজ বা তাইজি ফ্লাড নামে দুটি পক্ষ থেকে। তারা অন্তত চারজন বিখ্যাত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে যারা বেইজিংয়ের সমালোচনার জন্য সবার কাছে পরিচিত।
সম্প্রতি চীন সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলো থেকে অভিযোগ উঠেছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও টেক্সাসের রিপাবলিকান মাইকেল ম্যাককউল নিজের লাভের জন্য ক্ষমতাকে ব্যবহার করছেন। এছাড়া আরও যাদের নিশানা করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অ্যালাবামার রিপাবলিকান প্রতিনিধি ব্যারি মুর।
ইসরাইলকে সমর্থন করার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রিপাবলিকান মার্কো রুবিয়োকে নিশানা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মাইক্রোসফট ও রেকর্ডেড ফিউচার তাদের প্রতিবেদনে উলেখ করে, নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে পরিচালিত সাইবার কার্যক্রমে বেইজিং একা নয়। রাশিয়া-সম্পৃক্ত সাইবার কর্মীরা যারা গবেষকদের কাছে ‘স্টর্ম-১৬৭৯’ বা ‘অপারেশন ওভারলোড’ নামে পরিচিত, গত কয়েক মাস ধরে তাদের কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধি করেছে।
মাইক্রোসফটের রিপোর্ট বলেছে, দুই সপ্তাহেরও কম সময় আগে ইরান কর্তৃক পরিচালিত এক অনলাইন ব্যক্তিত্ব নিজেকে মিথ্যাভাবে মার্কিন নাগরিক বলে পরিচয় দিতে শুরু করে এবং উভয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইসরাইলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করছেন বলে মার্কিনদের এই ভোট বয়কট করার আহ্বান জানান।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে পরোক্ষ প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশেষ করে যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সরকার বর্তমান সেসব দেশের নির্বাচনে গোয়েন্দা প্রভাব কাজে লাগিয়ে ভোটারদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ আছে ওয়াশিংটনের বিপক্ষে। এবার খোদ একই পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে অন্য তিন পরাশক্তির বিরুদ্ধে।