মার্কিন নির্মিত ভাসমান ঘাট দিয়ে ত্রাণ পাঠানো শুরু
গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত ভাসমান ঘাট দিয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো এরই মধ্যে উপকূলে যেতে শুরু করেছে। তবে গাজা উপকূলে কোনো মার্কিন সেনা যায়নি বলেও জানায় সেন্টকম। খবর সিএনএনের
সেন্টকমের কমান্ডার অ্যাডম ব্র্যাড কুপার জানান, তাদের লক্ষ্য প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টন মানবিক সহায়তা গাজায় ঘাট দিয়ে পৌঁছানো। এর মানে, দিনে প্রায় ৯০ ট্রাক সাহায্য যাবে। তবে পরবর্তীতে দিনে ১৫০ ট্রাক পাঠানো হবে।
জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শুক্রবার ওই ঘাটে একটি জাহাজ ত্রাণ আনলোড করার কথা। এই সাহায্য একদিন গাজার উত্তরাঞ্চলে ও পরের দিন দক্ষিণে যাবে।
সামুদ্রিক করিডোরটি এমন এক জটিল সময়ে চালু হলো, যখন গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এতে গাজায় ঢুকছে না কোনো সাহায্য।
এদিকে, নেরদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদলতে (আইসিজে) দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়েছে। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও রাফায় হামলা বন্ধে আপিলের শুনানিতে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের জবাব দেয় ইসরায়েল।
এদিন ইসরায়েল দাবি করে, গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে, সেই প্রচারণারই অংশ রাফায় হামলার বিষয়টি। একইসঙ্গে দখলদার দেশটির আইনজীবীর দাবি, গত বছরের ৭ অক্টোবরের হামলার পর রাফাহ আক্রমণ হামাসকে পরাজিত করার মূল চাবিকাঠি বলেও সাফাই গায় আদালতে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের সূত্রের ভিত্তিতে মিথ্যা ও পক্ষপাতদুষ্ট দাবি আদালতে উপস্থাপন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মামলাকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলেও অভিহিত করেছে তারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দিন রাফায় ইসরায়েলের আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিতে আইসিজেকে অনুরোধ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাবালিয়া শিবিরে বোমা হামলা বাড়িয়েছে। এতে গতকাল অন্তত ৬ জন নিহত ও অনেক আহত হয়েছে। এই নিয়ে গাজার নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার ৩০৩ জন।