মার্কিন সৈন্যের উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ, কঠিন শাস্তি হচ্ছে!
মার্কিন সৈন্যের উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ, কঠিন শাস্তি হচ্ছে! – ছবি : সংগৃহীত
এক মার্কিন সৈনিক কোরিয়া সীমান্ত পার করে কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ার ভিতরে ঢুকে পড়েছে বলে জানা গেছে। মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে তিনি উত্তর কোরিয়ার ভিতর এবার শাস্তির মুখে পড়েছেন। এদিকে, মার্কিন সেনাবাহিনীর এক সদস্যের এভাবে সীমানা পেরিয়ে উত্তর কোরিয়াতে প্রবেশকে ঘিরে ফের একবার আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার মতো পরমাণু শক্তিধর দেশের সাথে আমেরিকার মতো বিপুল সামরিক শক্তির অধিকারী দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে এই নতুন ঘটনা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
মার্কিন সেনাবাহিনী জানতে পেরেছে, তাদের দেশের কোনো এক সৈনিক বেড়াতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার সীমানা পার করে ওই দেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে। স্বভাবতই তা কিম জম উনের শাসনে থাকা উত্তর কোরিয়ার পছন্দ হয়নি। ওই দেশের নিয়ম মেনে ওই সৈনিককে পড়তে হয়েছে বড় সমস্যায়।
মনে করা হচ্ছে, ওই মার্কিন সৈনিক উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে রয়েছে। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, ওই মার্কিন সৈনিকের নাম ট্রাভিস কিং। তিনি মার্কিনি সেনাবাহিনীর প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস সৈনিক বলে জানা গেছে। যদিও এই খবর অনলাইনে প্রকাশের খানিক পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার ওই সংবাদপত্র ওই সৈনিকের নাম সরিয়ে দেয় প্রকাশনা থেকে।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ওই সৈনিকের নাম এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে কয়েকজন আমেরিকার সৈনিক যারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তারা দাবি করেছেন যে ওই সৈনিক বড় কোনো শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
তৃতীয় মার্কিন অফিশিয়াল বলেছেন যে ওই সৈন্য ‘ইচ্ছাকৃত এবং অনুমোদন ছাড়াই’ উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিল। এদিকে, সিবিএসের খবর প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে সামরিক কর্মীরা লোকটির ক্রিয়াকলাপের জন্য কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, তবে তা প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তিকর ছিল।
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন মার্কিনি পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত বালাস্টিক মিসাইল সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করছে। ফলে কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে রয়েছে বহু জটিলতা।
জাতিসংঘ কমান্ড বেসামরিকীকরণ ও যৌথ নিরাপত্তা অঞ্চলে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই অঞ্চলটি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্ত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, অনুমতি না থাকায় এক মার্কিন নাগরিক সামরিক সীমানা রেখা অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে উত্তর কোরিয়ার কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে আমরা কাজ করছি।
বেসামরিকীকরণ অঞ্চলটি দুই কোরিয়ার সীমান্ত হিসেবে কাজ করে এবং বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুরক্ষিত অঞ্চল। এখানে স্থল মাইন পুঁতে রাখা আছে, চার পাশে বৈদ্যুতিক ও কাঁটাতারের বেড়া এবং নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। রয়েছে সশস্ত্র রক্ষী, যাদের দিনের ২৪ ঘণ্টা সতর্ক থাকার কথা।