মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারেন ট্রাম্প
রুবিও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন এবং ফরেন রিলেশনস কমিটিরও সদস্য তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে (৫৩) পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারেন বলে ট্রাম্পের ঘনিষ্ট দুজন সিএনএনকে জানিয়েছেন।
তবে এই পদের জন্য ট্রাম্প এখনও রুবিওকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, সোমবার রাত পর্যন্ত তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছিল ট্রাম্প রিক গ্রেনেলকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন, কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে বোঝা গেছে ক্রমে তিনি মার্কো রুবিওর দিকে ঝুঁকছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় গ্রেনেল জার্মানিতে তার রাষ্ট্রদূত এবং পরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে অন্য আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব না দেওয়া পর্যন্ত, ট্রাম্প যেকোনো সময় তার সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন।
রুবিওর একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
রুবিও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন এবং ফরেন রিলেশনস কমিটিরও সদস্য তিনি।
তাকে পররাষ্ট্রনীতির ‘বাজপাখি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার অর্থ তিনি ইরান ও চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রাখেন।
ইউক্রেনকে সমর্থন করলেও; এর আগে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির যুদ্ধের ‘অবসান ঘটাতে হবে’।
২০১৬ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের দৌড়ে রুবিও ও ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এবং দুজনের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। সেসময় নানা বিষয়ে তাদের মতবিরোধ ছিল, অভিবাসন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে একে অন্যের প্রতি কাঁদা ছোঁড়াছুড়িও কম হয়নি।
এমনকি ট্রাম্প সিনেটর রুবিওকে ‘লিটল মার্কো’ বলে অভিহিত করেন এবং রুবিও ট্রাম্পের ‘ছোট হাত’ নিয়ে ঠাট্টা করেন।
তবে রুবিও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছিলেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে তার পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি ট্রাম্পের রানিং মেট হতে পারতেন, শেষ পর্যন্ত জেডি ভ্যানস এই ভূমিকা পালন করেন।
কিউবান শ্রমজীবী অভিবাসী দম্পতির সন্তান রুবিও ২০১০ সালে প্রথমবার সিনেটে নির্বাচিত হন।