মালদ্বীপের কাছে ঘাঁটিতে সেনা বৃদ্ধি ভারতের, পাল্টা জবাব মুইজ্জুর
সম্প্রতি মালদ্বীপের কাছে লাক্ষাদ্বীপে নৌ ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। সেখানে শক্তি বাড়াতে নৌ সেনার পাশাপাশি বিমানবাহিনীর সেনাও যুক্ত করেছে তারা। পুরো ভারত মহাসাগরে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত। এরইমধ্যে মালদ্বীপ পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনের পাশাপাশি তুরস্কের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। নিজেদের শক্তি বাড়াতে চীনের কাছে গোলা-বারুদ কেনার পাশাপাশি তুরস্ক থেকে ড্রোন কিনছে তারা।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুইজ্জু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দিল্লি ও মালের সম্পর্কে শীতলতা দেখা দেয়। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এদিকে মালদ্বীপ থেকে প্রথম ধাপে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা আজ রোববার শুরু হচ্ছে। মালদ্বীপের চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুইজ্জু ৮৯ ভারতীয় সেনাকে ১০ মার্চ থেকে আগামী মে মাসের মধ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে লাক্ষা দ্বীপে নৌঘাঁটিতে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত। এই দ্বীপটি মালদ্বীপ থেকে মাত্র ৫২৪ কিলোমিটার দূরে।
এদিকে ৩১ জানুয়ারি একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের তিনটি মাছধরার নৌকায় উঠে পড়ে ভারতীয় সেনারা। দাবি করা হয়, মালদ্বীপের জলসীমার মধ্যে থাকাকালীনই সেই নৌকাগুলিতে ভারতীয় সেনারা উঠে পড়ে। আন্তর্জাতিক জলসীমা আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মুইজ্জু প্রশাসন।
এবার জানা গেল তুরস্ক থেকে ড্রোন কিনছে মালদ্বীপ। নিজেদের জলসীমায় নজরদারি চালাতেই নাকি এই ড্রোন কিনছে মালদ্বীপ। এর আগে চীনের সঙ্গে সামরকি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল মালদ্বীপ। সেই চুক্তি অনুযায়ী, চীনের থেকে রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল কিনতে চলেছে মলদ্বীপ। আর এবার তুরস্ক থেকে ড্রোন কিনছে মালে। আগামী সপ্তাহেই নাকি এই ড্রোন দিয়ে নজরদারি শুরু করবে মালদ্বীপ।
প্রসঙ্গত লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন আন্তর্জাতিক জলসীমা ধরেই পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর এশিয়ার উদ্দেশে বাণিজ্য জাহাজগুলি যাত্রা করে।