মালদ্বীপে খাবার পানির তীব্র সংকট, পাশে দাঁড়াল বন্ধু চীন
মালদ্বীপে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। এ অবস্থায় তিব্বতের হিমবাহ থেকে মালদ্বীপে পানি পাঠাচ্ছে চীন। মুইজ্জু সরকার জানিয়েছে, দেশ জুড়ে তীব্র পানি সংকটের মধ্যে মঙ্গলবার বেইজিং থেকে ১৫০০ টন খাবার পানি পৌঁছেছে দ্বীপরাষ্ট্রে। গত নভেম্বরে, মালদ্বীপে সরকারি সফরে গিয়েছিলেন চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চেয়ারম্যান, ইয়ান জিনহাই। মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেই সফরের সময়ই মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে তীব্বতের হিমবাহের পানি পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি করেছিলেন তিনি।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, উচ্চ গুণমানের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের খাবার পানি উৎপাদন করার জন্য পরিচিত। হিমবাহ অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা হিমায়িত পানি থেকে উৎপাদিত পানি অত্যন্ত পরিষ্কার এবং খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ।
মালদ্বীপে ২৬টি প্রবালপ্রাচীর রয়েছে। ১,১৯২টি দ্বীপের অধিকাংশই প্রবাল প্রাচীর এবং বালুতটে ঘেরা। ফলে, ভূগর্ভস্থ পানি এবং মিঠা পানি অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৫-র সালের মধ্যে, জাতিসংঘের আর্থিক সহায়তায় এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিল মালদ্বীপ। কিন্তু, তাতে খুব একটা সাফল্য আসেনি।
২০১৪-র ডিসেম্বরে, ‘মালে ওয়াটার অ্যান্ড স্যুয়ারেজ কোম্পানি কমপ্লেক্সে’ এক বিশাল অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। সেই সময় দ্বীপরাষ্ট্রে খাবার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় মালদ্বীপের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। ‘অপারেশন নীর’-এর মাধ্যমে মালদ্বীপ সরকারের অনুরোধের ১২ ঘন্টার মধ্যে মালেতে ৩৭৫ টন পানি সরবরাহ করেছিল নয়া দিল্লি। এরপর, আইএনএস দীপক এবং আইএনএস সুকন্যাও মালেতে গিয়েছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর এই দুই জাহাজ প্রায় ২,০০০ টন পানি নিয়ে গিয়েছিল।