মালয়েশিয়ায় মানব পাচারকারী বাংলাদেশি সিন্ডিকেট সহ ৮ জন গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ মানব পাচারকারী বাংলাদেশি সিন্ডিকেট সহ আনডকুমেন্টেড অবৈধ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
দেশটির সিনার হারিয়ানে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর-জেনারেল রুসলিন জুসোহ জানিয়েছে, গত ১৬ মে বৃহস্পতিবার রাতে কুয়ালালামপুরের একটি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সিন্ডিকেটটি অবৈধভাবে ২১,০০০ রিঙ্গিতের বিনিময়ে ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ড আসার পরে নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসে তাদের।
পরিচালক বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দফতরের গোয়েন্দা ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭.০২ মিনিটের অভিযানে সন্দেহভাজন ব্যক্তি চালিত একটি পেরোডুয়া মাইভি গাড়ির সাথে সংঘর্ষ হয়। গাড়ি চালানো সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইমিগ্রেশন দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করার পর দ্রুত গতিতে পালানোর চেষ্টা করে। পরে অপারেশন দলটি সেটিকে ধরতে সক্ষম হয়।
রুসলিন আরো বলেন, ৩৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন অবৈধ মানব পরিবহনকারী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাথে গাড়িতে থাকা অনথিভুক্ত দুই বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে।
গাড়ি থাকা আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যর ভিওিতে উক্ত বাসভবণে অভিযান চালানো হয় এবং এই সময় বৈধ ভ্রমণ নথি বা পাস ছাড়া আরও পাঁচ বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়। অভিযানকারী দলটি তাদের থেকে ১০টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তিনটি মোবাইল ফোন, নগদ ৫০০ রিঙ্গিত এবং অভিবাসীদের পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পেরোডুয়া মাইভি জব্দ করেছে।
তিনি বলেন, এ সিন্ডিকেটটির কাজ ছিলো, কাজ খুঁজছেন এমন লোকদের আকাশপথে ভিয়েতনামে এবং তারপর স্থলপথে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থাইল্যান্ড থেকে নৌকায় করে তাদের কেলান্তানে আনা হয়। সেখান থেকে ট্রান্সপোর্ট করে তাদের কুয়ালালামপুরের এ বাসভবনে নিয়ে আসা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্য বলছে, সিন্ডিকেটটি দুই মাস ধরে কাজ করছিলো। তাদের মালয়েশিয়ার পাচার বিরোধী এবং অভিবাসী আইন ২০০৭-এর ধারা ২৬-এ এর অধীনে তদন্ত করা হচ্ছে এবং অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর অধীনে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।