মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
আজ বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
৫ জুন, ২০২৪; জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে কী সমস্যা হয়েছে – তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আজ বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু এক সম্পূরক প্রশ্নে– নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ব্যর্থতা কার, তা জানতে চান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কর্মসংস্থানের জন্য যাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। অনেকেই যায়। সরকার বৈদেশিক কর্মসংস্থানে সহযোগিতা করে থাকে। কিন্তু কিছু লোক দালালের মাধ্যমে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল। বিশেষ ফ্লাইট ও অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সকলকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়েছে। বাদ পড়ার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি কত লোক যাবে, কীভাবে যাবে। তখনই দেখা যায় দেশের এক শ্রেণির লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করে, তারা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। এদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও যুক্ত আছে। এতে জটিলতার সৃষ্টি হয়।”
“আবার সরকার যখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে যায়, তখনই কিছু লোক ছুটে গিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এভাবে যারা যায়, তাদের কাজের ঠিক থাকে না, চাকরিও ঠিক থাকে না, বেতনের ঠিক থাকে না, সেখানে গিয়ে বিপদে পড়ে। এটা শুধু মালয়েশিয়া না, অনেক জায়গায় ঘটে”- যোগ করেন তিনি।
একই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “বারবার আমি দেশবাসীকে বলেছি জমিজমা সব বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে। প্রয়োজনবোধে বিনা-জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে জানাতে হবে– সে যে যাচ্ছে তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কিনা, এটা নিশ্চিত হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে”।
তিনি আরো বলেন, “তারপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে, সেই দৌড় দিতে গিয়ে বাড়িঘর সব বিক্রি করে তারপরে পথে বসে। অথবা সেখানে (বিদেশে) যদি চলেও যায়, বিপদে পড়ে। মানুষকে বলেছি, এভাবে না যেতে। সোজাসুজি নিয়ম মানলে এ বিপদের সৃষ্টি হয় না। তবে এবার যে সমস্যা হচ্ছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।