Hot

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পর এবার মধ্যপ্রাচ্যেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা

শ্রমবাজারে সিন্ডিকেটের কালো থাবা লিবিয়ায় ৫০ সিন্ডিকেটের আনাগোনা শুরু :: আরব আমিরাতে ভিসানীতিতে কড়াকড়ি :: সিন্ডিকেটের ব্যর্থতায় ১৭ হাজার কর্মী যেতে পারেনি মালয়েশিয়ায় :: টিকিটের টাকা যোগাতে নাভিশ্বাস

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারও হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মালয়েশিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার নিয়েও সেই সিন্ডিকেটের তৎপরতা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে লিবিয়ায় কথিত ৫০ সিন্ডিকেটের আনাগোনা শুরু হয়েছে। বিদেশের শ্রমবাজারের চিহ্নিত সেই সিন্ডিকেট এবার মধ্যপ্রাচ্যে কালো থাবা দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজের (বায়রা) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে কথা বলে এ তথা জানা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশ বাহরাইন ও ওমানের বন্ধ শ্রমবাজার চালু না হওয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপের দরুণ মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে এমনিতেই নানামুখী বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রমবাজার কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আউটসোর্সিং কোম্পানির ভিসা ট্রেডিং এর রমরমা বাণিজ্য এবং ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে কর্মী প্রেরণে নানা সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
বায়রার যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, চিহ্নিত সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শেষ করে এবার মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার দখল করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সিন্ডিকেটের গডফাদার বায়রার মসনদ দখল করে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারকেও সিন্ডিকেটের কবজায় নেয়ার স্বপ্ন দেখছে।

সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের কাছ থেকে জনপ্রতি সাড়ে চার লাখ টাকা করে এবং প্রায় দশ লাখ কর্মীর মেডিকেল পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিদেশে জনশক্তি রফতানির উল্লেখযোগ্য অংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে যাচ্ছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট সিন্ডিকেট চক্র মধ্যপ্রাচ্যগামী বিমানের টিকিটের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চড়া দামের ওয়ানওয়ে টিকিটের টাকা যোগাতে কর্মীদের নাভিশ্বাস উঠছে। ঈদকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে ঢাকামুখী ওয়ানওয়ে টিকিটের দাম এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অথচ ক’দিন আগেও এই টিকিটের দাম ছিল মাত্র ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সোয়া কোটি বাংলাদেশি কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখছেন। মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেট চক্রের ব্যর্থতার দরুন গত ৩১ মে’র মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার ই-ভিসাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি দেশটিতে যেতে পারেনি। দালাল চক্রের হাত বদল হয়ে এসব কর্মীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে সিন্ডিকেট চক্র। এসব ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের ভাগ্যে কি আছে তা’ কেউ কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। আরো প্রায় বিশ হাজার কর্মী অনুমোদন পেয়েও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, ভিসাপ্রাপ্ত এসব কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের জন্য সময় বৃদ্ধির জন্য চিঠি দিয়েছি।

পরিবারে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা নিয়ে আসা এবং একটু স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিবছর বিদেশে পা বাড়ায় দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করে, বৈদেশিক রিজার্ভ সমৃদ্ধ করে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। এসব অভিবাসী কর্মীদের বিশাল অংশের গন্তব্য মূলত মধ্যপ্রাচ্যের সউদী আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া এসব দেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সউদী আরবে। দেশটিতে বর্তমানে ২৫ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। কিন্তু সউদী আরবের পরিবর্তিত অভিবাসন আইন ও বৈশ্বিক মন্দাসহ নানা কারণে হাজার হাজার প্রবাসী চাকরি হারাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার সউদী আরবে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীর কাজ নেই। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে হাজার হাজার কর্মী নিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস।

এসব বাংলাদেশি কর্মীরা দেশের আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছে। রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস ও বিএমইটিতে ভুরিভুরি অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সউদী থেকে একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সউদী আরবে আট শতাধিক বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী প্রেরণে দূতাবাসের অনুমোদনপ্রাপ্ত। এদের মধ্যে প্রায় তিন শত বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির পাসওয়ার্ড ল’ক করেছে ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস। এজেন্সিগুলোর নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্য এসব লাইসেন্সের পাসওয়ার্ড ল’ক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এসব এজেন্সি সউদীতে কর্মী পাঠাতে পারছে না। এসব সঙ্কট নিরসনে বায়রা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। সউদী আরবে কর্মরত বাংলাদেশি, এক্সচেঞ্জ হাউজ, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলছেন, সউদী আরবে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসী হলেও তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ এখন বেকার। অনেকে চাকরি পেলেও বেতন-ভাতা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম। জীবনধারণের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে মাস শেষে অনেক বাংলাদেশি কর্মীর হাতেই দেশে পাঠানোর মতো উদ্বৃত্ত অর্থ থাকছে না।

বায়রার সভাপতি আবুল বাসার তার ছেলের বিএনএস ওভারসীজ ও মেয়ের একটি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জড়িয়ে পড়ায় তিনি সাধারণ বায়রা সদস্যদের স্বার্থের দিকে নজর দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে বায়রার অর্থসচিব মিজানুর রহমান জানান। বায়রা নেতা জানান, মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটের গডফাদার ক্যাথারসীজ, নামিরা এবং মেটকো এজেন্সির মালিকরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে। এক প্রশ্নের জবাবে বায়রা নেতা মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ার সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয়দাতার নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের লিবিয়ার শ্রমবাজারও ৫০ টি রিক্রুটিং এজেন্সির সমন্বয়ে সিন্ডিকেট করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে শোনা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খেয়ে এখন মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে কালো থাবা দিতে মরিয়া। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার ধ্বংস করার নীল নকশায় মেতে উঠছে চিহ্নিত সিন্ডিকেট চক্র।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে একশ্রেণী অভিবাসীর অপরাধ কর্মকাণ্ডের দরুন দেশটির সরকার নাগরিকদের সুরক্ষায় ভিসানীতিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করছে। এতে বাংলাদেশি শ্রমবাজারে নানা সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমাদের প্রতিনিধি ছালাহ উদ্দিন জানান, সম্প্রতি দেশটির ভিজিট ও বিজনেস পার্টনার ভিসাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য আরব আমিরাতের ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দেশটির ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট টাইপিং সেন্টার ও ট্রাভেলস থেকে জানা গেছে, আমিরাতে ভিজিট ভিসায় আসা আগের মতো সহজ নয়। বরং আগের চেয়ে ভিজিট ভিসার ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ভিসা রিজেক্ট আসে। তাছাড়া যারা ভিজিট ভিসায় আমিরাতে আসবেন তাদেরকে এয়ারপোর্টে ৩ হাজার দিরহাম বা সমপরিমাণ ডলার এবং আসা-যাওয়ার টিকেট সাথে রাখতে হবে।

বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমিরাত কেন বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদানে কাঠোর হয়েছে তার কারণ হিসেবে প্রবাসীরা জানান, একশ্রেণীর বাংলাদেশি ভিজিট ভিসায় এসে মেয়াদ শেষে দেশে ফিরে না গিয়ে অবৈধ হয়ে থাকা, পার্টনার ভিসা লাগিয়ে ব্যবসা না করে অন্য জায়গায় কাজ করায় কর্তৃপক্ষ চরমভাবে ক্ষুব্ধ। ফলে অপরাধ প্রবণতা ঠেকাতে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসানীতিতে কঠোর হয় আমিরাত। কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে এ দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। প্রবাসীরা বলেন, এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশটিতে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হবেন ব্যাপক বাংলাদেশি। অন্যদিকে দেশীয় শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়বেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) জালিয়াত চক্র আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। জনশক্তি রফতানিতে ঝুঁকি বাড়ছে। অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের ইনজাজ কপি টেম্পারিং করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে অপচেষ্টা চালায়। বিএমইটির পরিচালক ইমিগ্রেশন ছাদেক আহমদ গত ২০ মে এক নোটিশে উল্লেখ করেন মেসার্স সাফিন ওভারসীজ দু’টি নথিতে ১৪ জন কর্মীর ইনজাজ কপি টেম্পারিং করে বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে আবেদনপত্র জমা দেয়। যা বেআইনী। আল মোবারক ইন্টারন্যাশনাল ৪০ জন কর্মীর একক বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য ইনজাজ কপি টেম্পারিং করে আবেদন পত্র জমা দেয় বিএমইটিতে। রিক্রুটিং এজেন্সি জে এস এ ওভারসীজ ৭ জন একক কর্মীর বহির্গমন ছাড়পত্র নেয়ার জন্য ইনজাজ কপি টেম্পারিং করেছে। পরিচালক ইমিগ্রেশন ছাদেক আহমদ এসব জাল জালিয়াতির অপচেষ্টাকারী রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্মসংস্থানের বরাবর অনুরোধ জানিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের সুন্দর দেশ ওমানে বেশ কয়েক মাস যাবত বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। কূটনৈতিক তৎপরতার অভাবে দেশটির শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে না। গত বছর আগস্টের দিকে ওমানে বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণসহ অন্যান্য বিষয়ে ওমান কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা ও চূড়ান্তকরণের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও ওমান প্রতিনিধিদলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব এবং ওমান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ওমান রাষ্ট্রদূত ড. সুলাইমান সউদ আল জাবরি । অদ্যাবধি দেশটিতে কর্মী প্রেরণের উল্লেখযোগ্য সুবাতাস পাওয়া যায়নি। প্রায় ৭ লক্ষ বাংলাদেশি কর্মী বর্তমানে ওমানে কর্মরত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিšুÍ কটূনৈতিক তৎপরতার অভাবে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীরা যেতে পারছে না।

বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি রফতানিতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গত জানুয়ারি মাসে ঢাকায় সফররত আমিরাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সোসাইটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হারুনুর রশিদ গতকাল সোমবার ইনকিলাবকে জানান, দালাল চক্রের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হাজার হাজার যুবক ভিজিট ভিসায় গিয়েছে। এদের অনেকেই দেশটিতে কাজ না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকেই এমপ্লমেন্ট ভিসা যোগাড় করতে না পেরে অবৈধ হয়েছে। কেউ কেউ বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে খাবার কিনে খাচ্ছে এবং দেশে থেকে বিমানের টিকিটের টাকা নিয়ে খালি হাতে দেশে ফিরছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
Toto Slot
slot gacor
slot gacor
slot toto
Bacan4d Login
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot bacan4d
bacan4d togel
bacan4d game
slot gacor
bacan4d login
bacantoto 4d
toto gacor
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
slot77 gacor
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
bacansports
slot toto
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d