মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে সাজা : বিএফইউজের বিস্ময়-ক্ষোভ
কথিত অপরহণ চেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতারা বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে- বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেয়া এ রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমানকে দণ্ডবিধির পৃথক দুটি ধারায় মোট সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে যে দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় অপহরণের অভিযোগে পাঁচ বছর এবং ১২০ (খ) ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দুই বছর সাজার আদেশ দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিক নেতারা গভীর উদ্বেগ, বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আকস্মিক এ দণ্ডাদেশ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। দু’জন সম্পাদকই বাংলাদেশের অগনিত গণতন্ত্রমনা মানুষের কাছে অতি প্রিয়, নন্দিত এবং সাহসী কলযোদ্ধা হিসেবে সুখ্যাত ও সুপরিচিত। তারা কখন, কোথায় প্রধানমন্ত্রী ছেলেকে অপহরণ করলেন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করলেন তা এদেশের সাংবাদিক সমাজ, নাগরিক সমাজ কিংবা সাধারণ মানুষ অবহিত ও জ্ঞাত নয়। আদালতে কিভাবে অভিযোগগুলোর শুনানি ও প্রমাণিত হয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। ক্রমাগতভাবে দেশের সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে বশীভূত করা এবং ভীতি ছড়ানোর যে অপচেষ্টা চলছে, এই দণ্ডাদেশ তারই অংশ বলেই ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতারা অবিলম্বে নানাবিধ কালাকানুন, সংবাদ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা, হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ প্রায় রুদ্ধ করে ফেলার পর এখন আদালতকে ব্যবহার করে নতুন করে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।