মিথেনের খোঁজে পাঠানো হচ্ছে কৃত্রিম উপগ্রহ
মিথেনের খোঁজে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠানোর কাজ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি অনুসন্ধান দল মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দায়ী গ্যাস মিথেনের খোঁজে স্যাটেলাইট প্রেরণ করছে। আমাদের বায়ুমণ্ডলে মিথেনের উপস্থিতি ও ওজোনস্তরে ছিদ্র চিহ্নিত করার জন্য কয়েকটি কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। মিথেন–সংক্রান্ত তথ্য জানাতে স্পেসএক্স ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেজ থেকে একটি স্যাটেলাইট ১৬ আগস্ট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এ কাজে বিনিয়োগ করছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইক ব্লুমবার্গসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ ধনী। স্পেসএক্স ট্রান্সপোর্টার–১১ রাইডশেয়ার অভিযানের অংশ হিসেবে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানো হচ্ছে মহাকাশে।
২০২১ সালে পৃথিবী রক্ষায় কার্বন ম্যাপার কোয়ালিশন যাত্রা শুরু করে। সেই জোটে নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি, স্যাটেলাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট ল্যাবস, আরএমআই ও অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি যুক্ত হয়। কার্বন নিয়ে গবেষণার জন্য হাই টাইড ফাউন্ডেশন, ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস, গ্রান্থাম ফাউন্ডেশন ফর দ্য প্রটেকশন অব দ্য এনভায়রনমেন্ট, জেগার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন ও চিলড্রেনস ইনভেস্টমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
ট্যানাজার–১ নামের স্যাটেলাইট তেল শোধনাগার ও ময়লার ভাগাড়ের মতো স্থানে মিথেন শনাক্ত করতে কাজ করবে। নাসার এ প্রযুক্তি দূষণকারী শিল্প এলাকা থেকে মিথেন খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে। একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। কার্বন ম্যাপার কোয়ালিশন নামের এই জোট ভবিষ্যতে আরও স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। প্রতিদিন বিশ্বের বৃহৎ আকারে যত মিথেন দূষণ হয়, তার ৯০ শতাংশ শনাক্ত করতে কাজ করবে এসব স্যাটেলাইট।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মিথেন দায়ী। তাই মিথেনের উত্স শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাই টাইড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড লরেন্স বলেন, জলবায়ু নিয়ে কাজ করার জন্য এখন অনেকেই কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী মিথেন ও কার্বন ডাই–অক্সাইড নিরীক্ষণে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের অভাবের ফলে নির্গমণ–সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। বায়ুমণ্ডলে গত ২০ বছরে মিথেন কার্বন ডাই–অক্সাইডের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি হারে ছড়িয়ে পড়েছে। কার্বন ম্যাপারের প্রধান নির্বাহী রিলি ডুরেন বলেন, প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোগ্রাম মিথেন নির্গত হচ্ছে।