মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ একুশে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়

১৫ বছর ধরে জাতীয় দিবস তথা ভাষা শহীদ দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস মুজিব বন্দনার নিয়ন্ত্রিত ছিল। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো মানুষ নিজেদের মতো করেই পালন করতেন। কারণ জাতীয় দিবসগুলোকে এক ব্যক্তির বন্দনা মানুষ মেনে নিতে পারতেন না। ৫ আগস্টের পর পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এবার দেশের সর্বস্তরের মানুষ মুক্ত পরিবেশে, নিয়ন্ত্রণহীনতায় ভয়মুক্ত চেতনায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছিল। একই ভাবে বাংলা একাডেমির একুশে বই মেলায় দেখা গেছে লাখো মানুষের প্রাণের স্পন্দন। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বইমেলায় উপচে পড়েছিল দর্শনার্থীর ভিড়। এ যেন বন্ধনহীন মুক্ত মানুষের প্রাণের উচ্ছাস।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামী লীগের ‘মুজিব বন্দনার বাধ্যবাধকতা মুক্ত’ পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন সেই শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে জাতি। দিবসটিতে হাজারো মানুষ খালি পায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোর থেকেই প্রভাতফেরি করে সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধার ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা কয়েকজন জানান, এতোদিন আওয়ামী লীগ জাতীয় দিবসগুলোকে কুক্ষিগত করে ‘মুজিব বন্দনা’র বাধ্যবাধকতা করায় নিজেদের মতো করে দিবসগুলো পালন করেছি। এবার ফ্যাসিস্টমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশে ম্ক্তু বাতাসে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে হাজির হয়েছি। বিগত ১৫ বছর শহীদ মিনারে ভয়ভীতি ছিল এখন সেটা নেই।
একুশের প্রথম প্রহরে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অমর একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়। শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে এবং প্রধান উপদেষ্টা ১২টা ১২ মিনিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমদ খান। প্রায় দেড় যুগ পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত পরিবেশে জাতি ভাষা শহীদের স্মরণ করলো। দিবসটিতে বাংলা একাডেমির বইমেলায় ছিল পাঠক-লেখক-প্রকাশক-ক্রেতা-দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। মুজিব বন্দনা ও আওয়ামী নিয়ন্ত্রণম্ক্তু বইমেলায় ভাষাশহীদ দিবসে যেন উচ্ছাসের মেলা বসেছে। নারী-পুরুষের রঙ-বেরঙের পোশাকে বইমেলায় অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয়। বেশিরভাগ পুরুষ পরেন কালো পাঞ্জাবি, নারীরা কালো শাড়ি। বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়েও অনেক কিশোরী বইমেলায় হাজির হন। শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বইয়ের বেচাবিক্রিও বেড়ে যায়। শিশু প্রহরে ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। লিটল ম্যাগ চত্বরে ছিল অনেক ভিড়। বইমেলায় অনেক নারী-শিশুর পোশাক-পরিচ্ছদ ও বিচরণ দেখে মনে হলো তারা যেন মামাবাড়ি-নানাবাড়িতে উৎসব করতে এসেছেন।
জাতীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রীক রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধায় দিবসটি পালিত হয়েছে। বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি গ্রাম পর্যায়ের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। দিল্লিতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা রেজিমে দীর্ঘ দিন সাধারণ মানুষ মুক্ত পরিবেশে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসতে পারতেন না। জাতীয় দিবসটিতে সবকিছু শেখ মুজিব বন্দনা এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীক করা হতো। আওয়ামী নিয়ন্ত্রণে বাধায় পড়ায় সাধারণ মানুষ মুক্তমনে শহীদদের স্মরণ করতে পারতেন না। এবার হাসিনা পালানোর পর স্বাধীনভাবে আমজনতা শহীদ দিবস পালন করেছে।
দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টার আগে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে এলে শিক্ষার্থীরা ‘গো ব্যাক গো ব্যাক, চুপ্পু গো ব্যাক’, ‘শেখ হাসিনার খুনিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, ‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ ইত্যাদি সেøাগান দেন। কেউ কেউ প্রেসিডেন্টকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দালাল হিসেবে অবিহিত করে ‘ফিরে যাও’, ‘ফিরে যাও’ ‘তোমাকে আমরা চাই না’ চিৎকার করে। রাত সোয়া ১২টার দিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সামসুজ্জামান দুদু শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে চাইলে নিরাপত্তা জনিত কারণে তাকে বাধা দেয়া হয়। তিনি কিছু সময় পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় জাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি বাম দলের নেতারা প্রবেশের চেষ্টা করলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় তাদের কথাকাটাকাটি করতে দেখা যায়।
প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা জানান। তাদের পরে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। এরপর একে একে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা। এরপর বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার এবং আনসার, বিজিবি, র্যাব, এনএসআইর মহাপরিচালকরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে দলে দলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংঘ, সংগঠন, আর্থিক, সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হল, ক্লাব, ইউনিয়নের হয়ে কিংবা ব্যক্তি ও পারিবারিকভাবে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। তাঁদের কারো হাতে একগুচ্ছ ফুল, ফুলের তোড়া। তাঁদের পোশাক ও সজ্জায় শোকের কালো রং। কণ্ঠে সেই বেদনাবিধুর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’।
সাড়ে সাতটার দিকে শহীদবেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তাদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২৪ সালে একটি বৈষম্যহীন সমাজের জন্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা তাঁদের জীবন দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। বৈষম্যহীন যে সমাজ আমরা গড়তে চাই, সেখানে আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশে সকল জাতিসত্তার মানুষ তার নিজ নিজ ভাষায় নিশ্চিন্তে কথা বলতে পারবেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারবেন।’
বইমেলায় উপচেপড়া ভিড় : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মানুষের ঢল নেমেছিল বাংলা একাডেমির বইমেলায়। লাখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে প্রাণের এই মেলায়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর বইমেলায় ছুটে যান ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। বইমেলায় সকালে তেমন ভিড় ছিল না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বেড়েছে। দুপুর গড়ানোর পর ঢল নামে মানুষের। তাদের পোশাকেও ছিল শহীদ দিবসের আবহ।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকেই খুলে দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েই বইপ্রেমীরা চলে আসেন মেলায়। এদিন মেলা প্রাঙ্গণ জমে ওঠে শিশু-কিশোর-প্রবীণদের প্রাণচঞ্চল উপস্থিতিতে। নারী-পুরুষের রঙ-বেরঙের পোশাকে বইমেলায় অন্যরকম এক আবহ তৈরি হয়। বেশিরভাগ পুরুষ পরেন কালো পাঞ্জাবি, নারীরা কালো শাড়ি।
এবারের বইমেলায় মুজিব বন্দনা না থাকায় দর্শনার্থীরা মুক্ত পরিবেশ পেয়েছে। তবে এতোদিন ভিড় কম ছিল। তবে গতকাল বইমেলায় এতটাই ভিড় ছিল যে প্রবেশমুখে তেমন কাউকে চেক না করেই প্রবেশ করতে দিতে হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ব্যাগ নিয়ে আসা কয়েকজনকে তল্লাশি করা হয়েছে। বইমেলার অভ্যন্তরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে বিকালে নাচ ও গান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ছিল উপচেপড়া ভিড়।
বইমেলার ভিড় নিয়ে প্রকাশনী সংস্থা গতিধারার তরুণ প্রকাশক সাদমান শাহরিয়ার অমিও বলেন, অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় দর্শক ও বিক্রি বেশি। আগে মুজিব কেন্দ্রীক বইমেলা হওয়ায় মানুষের মধ্যে চাপা অসন্তোষ, ভীতি ছিল। এখন মুক্ত পরিবেশে বইমেলা হচ্ছে। তবে শাহবাগে প্রতিদিন বিক্ষোভ-অবরোধ-দাবি দাওয়ার কর্মসূচি হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা ভীতি লক্ষ্য করা যায়। তবে মুজিব বন্দনা মুক্ত থাকায় এবারের মেলা শুরু থেকেই অনেক বেশি জমজমাট। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। তবে ২১ ফেব্রুয়ারির মতো ব্যস্ত সময় আর কাটেনি। ১৪ ফেব্রুয়ারিও অনেক ভিড় ছিল। বেচা-কেনাও হয়েছিল ভালো। তবে ওই দিনের তুলনায় ভাষা শহীদ দিবসে ভিড় বেশি। বেচাবিক্রিও বেশি। সকাল থেকে আমাদের একটু বিশ্রাম নেয়ার সময়ও হয়নি। হয়তো সর্বোচ্চ বিক্রি হবে।
বইমেলায় আসা বেশিরভাগই দর্শনার্থী উল্লেখ করে মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ মাহমুদুল হক বলেন, যতটা উপস্থিতি ততটা বিক্রি আসলে হয় না। বইয়ের প্রতি এ প্রজন্মের পাঠকদের একটা অনীহা রয়েছে। যারা আসছেন তারা সবাই যদি একটা করেও বই কেনেন তাহলে লেখকরা উৎসাহিত হবেন। বইমেলায় আসা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমনা খন্দকার বলেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর বইমেলায় এসেছি বই কিনতে। ঘুরে ঘুরে দেখছি আর পছন্দের বই কিনছি। এবার মেলায় দুইবার আসা হয়েছে। প্রথমবার এসে বই কিনিনি। তবে এখন এসেছি বই কিনতে।
একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল সরকারি ছুটি। দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপে ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা জনক স্থানগুলোতে বাংলা ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং অন্যান্য স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহীদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহীদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃংখলভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ইত্যাদি জনসচেতনতা মূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলোতে প্রয়োজনীয় প্রচার করে।