Trending

মুম্বাই এশিয়ার বিলিয়নিয়ারদের রাজধানী, পিছিয়ে পড়ল বেইজিং

ভারতের কাছেই যেন হেরে গেছে চীন। বেইজিংকে টপকে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাই পেয়েছে এশীয় বিলিয়নিয়ারদের রাজধানীর তকমা। বিশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে, মুম্বাইতেই এখন এশিয়ার শীর্ষ বিলিয়নিয়রদের বাস। 

‘হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪’ শীর্ষক তালিকাটি এই তথ্য পাওয়া গেছে। চীনের সাংহাই-ভিত্তিক হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউট তালিকাটি করেছে ।  হুরুনের তালিকা মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার বসবাস করেন নিউইয়র্কে। মার্কিন মুলুকের শহরটিতে থাকে ১১৯ জন এমন ধনকুবের। 

আর তার পরেই আছে লন্ডন, সেখানে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৯৭। আর এশিয়ার ভেতরে শীর্ষে রয়েছে মুম্বাই, যেখানে বাস করছেন ৯২ জন বিলিয়নিয়ার।

ভারতে এই অতি-ধনীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন রিলায়েন্স চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। তার সাথে আছেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। 

অর্থনীতির বিকাশের ফলে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যাও বেড়েছে দেশটিতে। এবারের তালিকায় ভারতের আরো ৯৪ জন অতিধনী যুক্ত হয়েছে। দেশটির মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭১ জনে। ২০১৩ সালের পরে এই বৃদ্ধিই সর্বোচ্চ।    

হুরুনের চেয়ারম্যান রুপার্ট হগওয়ার্ফ বলেন, ‌‘ভারতের অর্থনীতির ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা রেকর্ড স্তরে। এর ফলেই দেশটিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগ আরো বাড়ছে। ভারতের বড় বড় কোম্পানিগুলো যার বড় অংশ পাচ্ছে, এতে কোম্পানিগুলোর স্বত্বাধিকারীদের সম্পদমূল্যও বাড়ছে দিনকে দিন।’ 

অবশ্য এশিয়ার মধ্যে নির্দিষ্ট একটি শহরের হিসাব বাদ দিলে, বৈশ্বিকভাবে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যায় সবার উপরে আছে চীন। চীনে মোট ৮৪৪ জন বিলিয়নিয়ার থাকার কথা জানিয়েছে হুরুন। তবে ২০২২ সালের তুলনায় চীনে ১৫৫ জন বিলিয়নিয়ার কমেছে।

২০২৩ সালে বিলিয়নিয়ার সংখ্যায় চীনের কাছাকাছি এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আরো ১০৯ অতি-ধনী এসময় বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮০০ জনে। 

প্রতিবেদন তৈরির সময়, ভারতের সেরা ধনী মুকেশ আম্বানির মোট সম্পদমূল্য ছিল ১১৫ বিলিয়ন ডলার। আর গৌতম আদানির ক্ষেত্রে তা ছিল ৮৬ বিলিয়ন ডলার।

চীনের অতি-ধনীদের মধ্যে তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেন, বোতলজাত পানির পরিবেশক নংফু স্প্রিং- এর চেয়ারম্যান ঝং শানশান। ৬৩ বিলিয়ন ডলারের সম্পদমূল্য নিয়ে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন।  

তবে চীনা বিলিয়নিয়ারদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সম্পদ সার্বিকভাবে ১৫ শতাংশ কমেছে। হগওয়ার্ফ জানান, দুই বছর আগের হুরুনের তালিকায় থাকাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button