Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Hot

মূল্যস্ফীতির ফাঁদে ভোক্তা, খাদ্য পরিবহণ স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে ব্যয় বেড়েছে বেশি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন: অর্থ সংকটে বাড়ি ভাড়া, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, বিনোদন খাতে খরচ কমিয়েছেন বেশি * কম খাদ্য গ্রহণ করায় পুষ্টিহীনতার শিকার দরিদ্ররা * গত দুই বছরে টাকার মান কমেছে ৪৭-৫৩ শতাংশ

বৈশ্বিক ও দেশীয় অর্থনৈতিক সংকটের দোহাই দিয়ে দুই বছর ধরে বাজারে নিত্যপণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে হুহু করে। একই সময়ে ডলার সংকটের কারণে এর দাম বেড়েছে, কমেছে টাকার মান। রাজস্ব আয় কম হওয়ায় এবং খরচ বাড়ায় ওই সময়ে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় ঋণ নিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ভোক্তার আয় বাড়েনি সমহারে। 

ভোক্তার আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়েছে। ফলে ভোক্তার আয় বৃদ্ধির পুরোটাই চলে গেছে মূল্যস্ফীতির পেটে। ভোক্তার আয় যে হারে বাড়ছে, এর চেয়ে বেশি বাড়ছে ভোক্তার খরচ। ফলে ভোক্তাকে সংসার চালাতে টাকার সংকটে ভুগতে হচ্ছে। এতে জীবিকার অত্যাবশ্যকীয় কিছু উপকরণ থেকে যেমন খরচ কমাতে হয়েছে, তেমনই কমাতে হয়েছে জীবনযাত্রার মান। দুই বছরে ভোক্তাদের একটি অংশকে ধারদেনা করে জীবিকানির্বাহ করতে হয়েছে। টানা দুই বছর এই প্রবণতা চলায় ভোক্তাদের ঋণগ্রস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনই ঋণ গ্রহণের সক্ষমতাও হারিয়েছে। সব মিলে আয় ও ব্যয়ের ঘাটতি বাড়ায় সংসারের খরচ চালাতে বিপর্যস্ত ভোক্তা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। এখন তা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই সময়ে ডলারের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বা ৪৭ থেকে ৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ দুই বছরে ১০০ টাকার মধ্যে ৪৭ থেকে ৫৩ টাকাই ক্ষয় হয়ে গেছে। ১০০ টাকার মান এখন কমে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ থেকে ৫৩ টাকা। অর্থাৎ ১০০ টাকা দিয়ে ভোক্তা দুই বছর আগের ৪৭ থেকে ৫৩ টাকার পণ্য পাচ্ছে। টাকার এই অবমূল্যায়ন ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতাকে কমিয়ে দিয়েছে, বাড়িয়ে দিয়েছে পণ্যের দাম।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। চলতি বছর মেতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দ্বিগুণের কাছাকাছি। একই সময়ের ব্যবধানে ভোক্তার আয় ৬ দশমিক ২২ থেকে হয়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় গত মেতে ভোক্তার আয় বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা মূল্যস্ফীতির তুলনায় অনেক কম। 
টাকার অবমূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতি ও ভোক্তার আয় বাড়ার চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে স্বল্প ও মধ্য-আয়ের ভোক্তারা এখন নিজেদের আয় দিয়ে জীবিকানির্বাহ করতে পারছেন না। তারা জীবনযাত্রার ব্যয় কাটছাঁট করছেন। তাতেও না পেরে ঋণ গ্রহণ করছেন। টানা দুই বছর এ অবস্থা চলার কারণে ঋণ গ্রহণ করার যোগ্যতাও হারিয়েছেন।

মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ৪ কোটি ১০ লাখ পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ শতাংশ পরিবার মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে চলছে। অনেকে অর্থ সংকটে পড়ে মৌলিক খাদ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এতে দরিদ্র মানুষ পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এর আগে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং বা সানেমের এক জরিপে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি বলা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ভোক্তার আয় বাড়ার চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি বাড়তে থাকে। মাঝপথে ভোক্তার আয় বাড়ার হার আগের চেয়ে কমছিল। এক বছর এ হার সীমিত আকারে বাড়ছে। তবে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে, সেই হারে ভোক্তার আয় বাড়ছে না। যে কারণে ভোক্তাদের একটি অংশ বিশেষ করে স্বল্প ও মধ্য-আয়ের মানুষ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলের আগে ভোক্তার আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কম ছিল। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তার আয় না বাড়াকে প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। অন্যান্য দেশের মতো এর নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। ফলে টাকার অবমূল্যায়ন ও পণ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতিও বাড়তে থাকে। ওই বছরের এপ্রিলে প্রথমবার ভোক্তার আয়ের চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়ে যায়। ওই মাসে আয় বেড়েছিল ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর বিপরীতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ আয়র চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়েছিল দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ওই মাস থেকেই ভোক্তা আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হতে থাকে। অর্থাৎ ভোক্তা ঋণগ্রস্ত হতে শুরু করে। এরপর থেকে অর্থনৈতিক মন্দার প্রকোপ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনই ভোক্তার ব্যয় যে হারে বাড়তে থাকে, ওই হারে বাড়ছিল না আয়। ফলে জীবিকানির্বাহের জন্য ভোক্তা ঋণগ্রস্ত হতে থাকে। এভাবে প্রতিমাসেই আয়ের চেয়ে খরচ বেশি হতে থাকে, যা ভোক্তাকে বিপদগ্রস্ত করে ফেলে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভোক্তার আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। এর বিপরীতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। ওই মাসে ভোক্তার আয়ের চেয়ে খরচ বেশি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। 

একইভাবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভোক্তার আয় ও ব্যয়ের ব্যবধান আরও বেড়ে যায়। ওই মাসে ভোক্তার আয় বেড়েছিল ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। একই সময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়েছে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি বছরের মেতে ভোক্তার আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর বিপরীতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ওই সময়ে আয়ের চেয়ে খরচ বেশি বেড়েছে ২ দশমিক ০১ শতাংশ।

একজন ভোক্তা জীবনযাত্রায় যে খরচ করে, তার মধ্যে খাদ্যপণ্যেই ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে শস্যজাতীয় পণ্যে যেমন: চাল ও গমে ২১ দশমিক ৬২ শতাংশ। ডালে ১ দশমিক ৫১, মাছে ৬ দশমিক ৯৮, ডিম ও মাংসে ৪ দশমিক ৯৪, শাকসবজিতে ৪ দশমিক ৭৮, মসলায় ৪ দশমিক ২৯, ভোজ্যতেলে ১ দশমকি ৯৩, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যে ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। 

খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে খরচ হয় ৪৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে বাড়ি ভাড়া ও জ্বালানি খাতে খরচ করে ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। কাপড় ও জুতায় ৬ দশমিক ৮৪, গৃহসামগ্রী, আসবাবপত্র ও মেরামতে ৪ দশমিক ৭৩, স্বাস্থ্য খাতে ৩ দশমিক ৭৪, পরিবহণ খাতে ৫ দশমিক ৮০, শিক্ষা ও বিনোদন খাতে ৪ দশমিক ২৮ এবং বিবিধ খাতে ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ অর্থ খরচ করে। এ কারণে খাদ্যপণ্যের দাম ও বাড়ি ভাড়া বাড়লে ভোক্তার জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেড়ে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দুই বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। এছাড়া বাড়ি ভাড়া, পরিবহণ, স্বাস্থ্য, বিনোদনেও খরচ বেড়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, প্রতিবছর পণ্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু সেভাবে ক্রেতার আয় বাড়ছে না। আয় না বাড়ায় ক্রেতার বাড়তি দরে পণ্য কেনা এখন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক ক্রেতা অপরিহার্য পণ্য ছাড়া অন্যকিছু কেনা বাদ দিয়েছেন। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার খাবারের বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। যে কারণে শরীরে পুষ্টি ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে।

সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য ও পানীয় পণ্যে ভোক্তার খরচ বেড়েছিল ৬ দশমিক ২২ শতাংশ। একই বছরের ডিসেম্বরে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৯১ শতাংশে। গত বছরের মেতে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে। চলতি বছরের মেতে এ খাতে খরচ আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে। অর্থাৎ খাদ্যপণ্য কেনার খরচ বেড়েই চলেছে। দুই বছরের ব্যবধানে এ খাতে খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। খরচ টানা বাড়তে থাকায় ভোক্তা এখন তা কমাতে খাদ্য গ্রহণ করছেন কম। ফলে দরিদ্র শ্রেণি পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হচ্ছে।

কাপড় ও জুতায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খরচ বেড়েছিল ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত মে মাসে আবার তা বেড়ে ৯ দশমিক ৪০ শতাংশে ওঠে। গত বছরে করা বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা যায়, ভোক্তা খরচ কমাতে প্রথমে হাত দিচ্ছেন পোশাক-পরিচ্ছদে। একেবারে জরুরি না হলে এ খাতে খরচ করছেন না। 

বাড়ি ভাড়া, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্য জ্বালানি খাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খরচ বেড়েছিল ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, গত বছরের মে মাসে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ১৭ শতাংশে। চলতি বছরের মে মাসে তা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

বিভিন্ন সংস্থার জরিপে দেখা যায়, ভোক্তা খরচ কমাতে আগের চেয়ে কম দামের বাসা ভাড়া নিচ্ছেন। বিশেষ করে স্বল্প-আয়ের মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা দেখা গেছে।

আসবাব, গৃহসামগ্রী ও বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছিল ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, গত মেতে বেড়ে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশে। অর্থাৎ এ খাতে টানা খরচ বেড়েই যাচ্ছে। মূলত গৃহসামগ্রীর দাম বাড়ায় এ খাতে খরচও বাড়ছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিবিএস-এর প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, স্বাস্থ্য খাতে সাম্প্রতিক সময়ে খরচ মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ওষুধের দাম বাড়ার কারণে এ খাতে খরচ বেড়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ খাতে খরচ বেড়েছিল ১ দশমিক ১১ শতাংশ, একই বছরের ডিসেম্বরে তা এক লাফে বেড়ে ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশে ওঠে। গত বছরের মেতে তা অর্ধেক কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশে, গত মেতে তা আবার বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশে। স্বাস্থ্য খাতে খরচ মাত্রাতিরিক্ত বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতিতে এর অবদানও বাড়ছে। খরচ বাড়ায় এবং ভোক্তার চাহিদা কমায় একেবারে জরুরি না হলে চিকিৎসা নেওয়া থেকে বিরত থাকছেন ভোক্তা।

করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে পরিবহণ খাতে খরচ বেড়েছিল। এরপর তা কিছুটা কমে যায়। ২০২২ সালের আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে এ খাতে খরচ বাড়ে প্রায় ৫২ থেকে শতভাগ। বিবিএস-এর হিসাবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ খাতে খরচ বেড়েছিল ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, একই বছরের ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত বছরের মেতে আরও কমে ৭ দশমিক ৭১ এবং গত মেতে তা আবার বেড়ে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ হয়।

বিনোদন খাতে ভোক্তা অনেক খরচ কমিয়েছেন। কিন্তু সব পণ্যের দাম বাড়ায় এ খাতেও খরচ বেড়েছে। সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে খরচ বেড়েছিল ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। একই বছরের ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮০ শতাংশে। গত বছরের মেতে তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশে দাঁড়ায়। গত মেতে তা আবার কমে দাঁড়ায় ১১ দশমিক ০৯ শতাংশে।

বিবিধ খাতে ব্যয় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছিল ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ, একই বছরের ডিসেম্বরে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশে। গত বছরের মেতে এ খাতে খরচ কিছুটা কমে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত মেতে আবার বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

গত বছরের মেতে শিক্ষা খাতের যেসব উপকরণ ১০৯ টাকা ৩৭ পয়সায় পাওয়া যেত, এখন সেগুলো কিনতে খরচ হচ্ছে ১১৫ টাকা ৬৪ পয়সা। গত বছরের মের তুলনায় চলতি বছরের মেতে শিক্ষা খাতে খরচ বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

এক বছরের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। চাল কেজিতে ৪ দশমিক ৭৬, ডিম ১১ দশমিক ৮৩, ডাল ১৩ দশমিক ১৬, পেঁয়াজ ১৪৩ দশমিক ৭৫, আলু ৫৩ দশমিক ৩৩ এবং ব্রয়লার মুরগির দাম ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacantoto4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d toto
slot toto
bacan4d
bacan4d
togel online
Toto Slot
saraslot88
Bacan4d Login
bacantoto
Bacan4d Login
bacan4d
bacan4drtp
bacan4drtp
situs bacan4d
Bacan4d
slot dana
slot maxwin
slot bacan4d
slot maxwin
bacan4d togel
bacan4d login
bacan4d login
bacan4d login
bacantoto 4d
slot gacor
bacansport
slot toto
bacan4d
bacansport
bacansport
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot77 gacor
JAVHD
Bacan4d Login
Bacan4d toto
Bacan4d
Bacansports
Slot Dana
situs toto
bacansports
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacan4d
bacan4d
bacansport
bacansport
gacor slot
slot gacor777
slot gacor bacan4d
bacan4d
bacansport
toto gacor
bacan4d
bacansports login
slot maxwin
slot dana
slot gacor
slot dana
slot gacor
bacansports
bacansport
bacansport
bacansport
bawan4d
bacansports
bacansport
slot gacor
judi bola
slot maxwin
slot maxwin
bacansport
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot demo
slot gacor
slot gacor
slot gacor
toto slot
slot gacor
demo slot gacor
slot maxwin
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacansport
slot gacor
slot toto