যন্ত্রের বিশ্রাম গরমে!
সারাবিশ্বেই তাপদাহের প্রভাব অনুভূত। বাইরে চলাফেরায় বাড়ছে যন্ত্রের উত্তাপ। কমবেশি সবাই পকেটে স্মার্টফোন বহন করেন। কিছুটা সময় পকেটে থাকলেই স্মার্টফোনের গরম অনুভূত হয়। বাড়ে ঝুঁকি। সার্কিট গলে জটিল হতে পারে ফোনের ভেতরের যন্ত্রচক্র।
উচ্চমাত্রার তাপে গরম হয়ে বিকল হতে পারে ব্যাটারি। গরমকালে স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে প্রয়োজন কিছুটা বাড়তি যত্ন। তাই কয়েকটা বিষয়ে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। তা না হলে ঘটতে পারে চরম অঘটন। বিপদ এড়াতে মেনে চলতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
চারদিকে বাড়ছে গরম। ঠিক এমন সময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে বিশেষ খেয়াল না রাখার অর্থ ঝুঁকির হাতছানি। চারপাশে তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে, তখন ডিজিটাল গ্যাজেটের তাপমাত্রা হয় স্পর্শকাতর। বাইরের আবহে দীর্ঘক্ষণ স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করলে বা সচল রাখলে তা খুব দ্রুতই গরম হয়ে যায়। গবেষণা বলছে, চার্জযোগ্য ডিভাইসের মধ্যে স্মার্টফোনে ঝুঁকির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কারণ স্মার্টফোন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সচল থাকে। সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগ একে আরও বেশি বিশ্রামহীন করে। ফলে নানামুখী ঝুঁকির উৎপত্তি হয়। নিজে থেকে বাড়তি সচেতন না হলে ঘটতে পারে বিপত্তি। বাড়তি গরমে ফেটে যেতে পারে ব্যাটারি। তাই স্মার্টফোন গরমের বিষয়ে সব সময় যত্নশীল হওয়া জরুরি।
ডিভাইস গরমে কী করবেন
- সারাদিনে বেশিক্ষণ বা অযথা ফোন চার্জে রাখবেন না। প্রতিটি ব্র্যান্ড ফোনের ব্যাটারির ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে তা কতক্ষণ চার্জে দিতে হয়। তাই হ্যান্ডসেট বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময় দুই থেকে চার ঘণ্টার বেশি চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। চার্জ দিয়ে ফোনে কথা বলবেন না। চারদিকে এখন তাপমাত্রা এমনিতেই উতপ্ত। চার্জে থাকা অবস্থায় ডিভাইস এমনিতেই গরম হয়। ওই সময়ে যদি ফোনে কথা বলা হয়, তাতে ব্যাটারির ওপর নিশ্চিতভাবেই বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়।
ভুলে কাজের ব্যস্ততায় রোদের স্পর্শে ফোনকে না রাখাই শ্রেয়। কিংবা এমন কোথাও আছেন, যেখানে রোদ, হয়তো ভুলে হাতের মধ্যে ফোনটা রেখে দিলেন। এমন পরিস্থিতি থেকেও সচেতন থাকতে হবে। স্মার্ট ডিভাইসে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারি রোদের স্পর্শে বাড়তি উত্তপ্ত ছড়ায়।
- ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন মনে হলে দ্রুতই এর পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। অবহেলা করা যাবে না কোনোভাবেই। যথাযথ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়ে তখন দ্রুত ব্যাটারি বদলে নিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, ফোনের পেছনে কিছু অংশে তরলসদৃশ (ফ্লুইড) কিছু পদার্থ বেরিয়ে আসে। সচেতন হয়ে দেরি না করে ডিভাইসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করবেন।
টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে বহু সমস্যা থেকে ভোগান্তি না বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ডিভাইস পুরোপুরি বন্ধ করে বা ইন্টারনেট সংযোগমুক্ত করে বিশ্রাম দিতে হবে।
- গরম ডিভাইস দ্রুত ঠান্ডা আবহে নিতে হবে। উল্লিখিত পরামর্শ মেনে চললে গরমে ডিভাইস ঝুঁকি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।