যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন: সর্বকনিষ্ঠ এমপি কে এই স্যাম কার্লিং
স্যাম ক্যামব্রিজ শহরের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি জানান, যখন তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন, তখন অনেক ভোটারই অবাক হয়েছিলেন। ভোটাররা এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘এটা ভালো। আমাদের আরও বেশি তরুণ প্রয়োজন।’
স্যাম কার্লিং। বয়স সবেমাত্র ২২ বছর। যুক্তরাজ্যের এবারের সাধারণ নির্বাচনে নর্থ ওয়েস্ট ক্যামব্রিজশায়ার থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি, জিতেওছেন। তিনি এখন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের ‘সর্বকনিষ্ঠ’ সদস্য। খবর বিবিসির।
স্যামকে অনেকেই ‘বেবি অব দ্য হাউস’ আখ্যা দিয়েছেন। যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো খেতাব নয়। সবচেয়ে কম বয়সী এমপি হওয়ার কারণেই এই আখ্যা পেয়েছেন তিনি।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির এই স্নাতক নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য শৈলেশ ভারার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাত্র ৩৯ ভোটের ব্যবধানে স্যাম তাকে পরাস্ত করেন।
স্যাম তার এ বিজয়কে ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন। সেইসঙ্গে তরুণরা জনগণের জন্য কাজ করতে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অবশ্য স্যামই প্রথম নন, তার আগেও ‘বেবি অব দ্য হাউস’ হয়েছিলেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির স্নাতক কিয়ার ম্যাদার। তিনিও লেবার পার্টির এমপি ছিলেন। ২০২৩ সালের উপ-নির্বাচনে তিনি সেলবি ও এনস্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
স্যাম ক্যামব্রিজ শহরের কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি জানান, যখন তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা জানিয়েছিলেন, তখন অনেক ভোটারই অবাক হয়েছিলেন। ভোটাররা এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ‘এটা ভালো। আমাদের আরও বেশি তরুণ প্রয়োজন।’
তবে বয়সের দিকে মানুষের নজর থাকুক, এমনটা চান না স্যাম। বরং বয়স যাই হোক না কেন, তিনি তার জায়গা থেকে জনগণের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যেতে চান।
স্যাম বলেন, ‘আমি চাই আমরা বয়সের দিকে অদ্ভুতভাবে মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করি। আমরা অন্য কারোর মতোই। আমি শুধু আমার কাজটি করতে চাই।’
স্যাম ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের একটি গ্রামীণ শহরে বেড়ে উঠেছেন। তিনি তার এলাকাকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে ‘বঞ্চিত’ এলাকা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার চারপাশে অনেক কিছু খারাপ হতে দেখেছি। আমি আমাদের স্থানীয় উঁচু রাস্তায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত ছিলাম, যেগুলো আগে জমজমাট ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো পতিত জমির মতো দেখাচ্ছে।’
সর্বকনিষ্ঠ এই এমপি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। নতুন লেবার সরকারকে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি অনেক মানুষের কেবল কনজারভেটিভ সরকার সম্পর্কে জানাশোনা ছিল। আমি এটি বলতে পারি যে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করতে পারি এবং মানুষের কাছে ভালো বিকল্প তুলে ধরতে পারি। সেই সঙ্গে আমি এও আশা করি যে আমরা আরও বেশি করে তরুণদের রাজনীতিতে যুক্ত করতে পারব।’