USA

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ১৯ শতকের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাচ্ছে৷ ১৮৬৪ সালের এক আইনে গর্ভপাতে সহায়তা করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুয়োগ রয়েছে৷

গত মঙ্গলবার অ্যারিজোনা রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যটি গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার জন্য ১৮৬৪ সালের এই আইন পুনরায় কার্যকর করতে পারে৷ আইনটি কার্যকর হলে গর্ভপাতে সহায়তাকারী চিকিৎসকদের বিচারের মুখোমুখি করার আশঙ্কা বেড়ে যাবে৷

১৮৬৪ সালের গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা

অ্যারিজোনা রাজ্যের বিদ্যমান আইন অনুসারে ধর্ষণ অথবা অনিচ্ছাকৃত ঘটনায়ও গর্ভপাত নিষেধ৷ শুধু মায়ের জীবনের আশঙ্কা থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে৷ আইনটিতে গর্ভপাতের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে৷

গর্ভাবস্থার প্রথম ১৫ সপ্তাহে গর্ভপাত করার জন্য চিকিৎসকদের অভিযুক্ত করা যাবে না বলে ২০২২ সালের একটি আবেদন পর্যালোচনা করেছে রাজ্যটির সুপ্রিম কোর্ট৷

২০২২ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৭৩ সালে দেওয়া রো ভি ওয়েডের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের নিশ্চয়তার সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্য পুরোনো গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর করতে শুরু করেছে৷ বর্তমানে ১৪টি রাজ্য কিছু ব্যতিক্রম পরিস্থিতি ছাড়া গর্ভাবস্থার সব পর্যায়ে গর্ভপাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে৷

বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের নিন্দা প্রকাশ

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেছেন, ‘লাখ লাখ অ্যারিজোনাবাসী শিগগিরই আরও কট্টর ও বিপজ্জনক গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে৷ যে আইন নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অথবা ধর্ষণের মতো পরিস্থিতিতেও তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে৷’

বাইডেন আরও বলেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস ও আমি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানদের পাশে আছি৷ যারা একজন নারীর পছন্দের অধিকারকে সমর্থন করে৷ আমরা প্রজনন অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো এবং রো ভি ওয়েডের সিদ্ধান্ত পুনরুদ্ধার করার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাবো৷’

নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাইডেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে গর্ভপাত ইস্যুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন৷

অ্যারিজোনার অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘অ্যারিজোনা যখন রাজ্য ছিল না, তখন এখানে গৃহযুদ্ধ চলছিল। ওই সময় নারীরা ভোটও দিতে পারতেন না, সে সময়কার একটি আইনকে নতুন করে আরোপ করার আজকের এই সিদ্ধান্ত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে থাকবে৷’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button